কিছুদিন আগেই ডার্বি জিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ডার্বির রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার সেমিতে তারা নামল ডায়মন্ডের বিরুদ্ধে। সপ্তাহের ব্যস্ত দিন বুধবার হলেও গ্যালারিতে দাপটের অভাব ছিলনা লাল হলুদের। মাঠেও দাপট দেখালেন ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা। কিবু ভিকুনার ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধের শেষে কোনো গোল না করতে পারলেও আক্রমণের আধিপত্য তাদেরই ছিল বেশি। ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটেই প্রথম কর্নার পায় লাল হলুদ। বিক্ষিপ্তভাবে ডায়মন্ড হারবার আক্রমণে এলেও তার ধার ছিল বেশ। ৮ মিনিটেই পল একটি গোল মিস করেন। ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠে অবাধ বিচরণ করছিলেন মিগুয়েল। বিপিনদের উদ্দেশ্যে বাড়াচ্ছিলেন ঠিকানা লেখা পাস। তবে ১৪ মিনিটে সেই বিপনের সঙ্গে কম্বিনেশনেই একটি সহজ গোল মিস করেন মিগুয়েল। ওয়াল পাস খেলে মহেশ একটি সুন্দর পাস দেন মিগুয়েলকে। গোলের সামনে থেকে বল বাইরে মারেন মিগুয়েল। লাল হলুদের ডিফেন্ডার আনোয়ার তার বিশেষ শুটিং পাওয়ারকে কাজে লাগান ২১ মিনিটে। বক্সের থেকে তার দূরপাল্লার শট রুখে দেন মিরশাদ। প্রথমার্ধে নজর কাড়ল ডায়মন্ডের বর্তমান এবং লাল হলুদের প্রাক্তন গোলরক্ষক মিরশাদের পারফরমেন্স। ডায়মন্ড অবশ্য আক্রমণ করছিল জবি জাস্টিনকে কেন্দ্র করে। ২৩ মিনিটে একটি প্রতি আক্রমণে এই জবির পাস থেকেই স্যামুয়েলের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন লাল হলুদ সমর্থকরা। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে মহেশের শট গোললাইন সেভ করেন ডায়মন্ডের কর্তাজা। প্রথমার্ধে খেলার ফল গোলশূণ্য।
DURAND CUP 2025
আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমজমাট ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমির প্রথমার্ধ

×
Comments :0