SFI

এসএফআইয়ের রাত্রিবাসে রাত কাটালেন সীমান্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা

জাতীয়

ছাত্র ছাত্রীদের সাথে এমএ বেবি।

জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং গুজরাট সীমান্ত এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্যে থাকার ব্যবস্থা করলো এসএফআই। হেল্পলাইন খোলে, পাঞ্জাব থেকে জম্মুতে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের আনার ব্যবস্থা করে এসএফআই। গতকাল রাতে তারা দিল্লিতে এসে পৌঁছায়। সিপিআই(এম)’এর দপ্তর হরকিষেন সিং সুরজিৎ ভবনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাদের। পড়ুয়াদের সাথে দেখা করে কথা বলেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এম.এ.বেবি। তাদের থাকার যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই দিকেও নজর রাখেন তিনি। 

এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাঝরাতে আটকে পড়া পড়ুয়াদের আনতে স্টেশনে, বাসস্ট্যান্ডে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের কর্মীরা। রাতে তাদের থাকার জায়গায় ছিলেন এসএফআই সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধর এবং সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও দিল্লির সম্পাদক ঐশী ঘোষ। এছাড়া এসএফআই দিল্লির সভাপতি সুরজ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ। শয়ে শয়ে ছেলে মেয়ে এসএফআই এর উদ্যোগে রাত্রিবাসে ছিলেন।

এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে কোন সময়, যে কোন পরিস্থিতিতে তারা সীমান্তে আটকে পড়া পড়ুয়াদের পাশে থাকবেন।

উল্লেখ্য দেশ যখন সঙ্কটে, পাকিস্তানের সাথে যখন লাগাতার সামরিক সংঘাত চলছে সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি এই পড়ুয়াদের সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে আনা। উল্টে বিজেপি দেশ জুড়ে ছড়াচ্ছে সাম্প্রদায়িক বিষ, বামপন্থীদের নিশানা করে কুরুচিকর পোস্ট করা হচ্ছে সমাজমাধ্যমে।

এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ুখ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে কমিউনিস্টদের অবদান সব থেকে বেশি। দেশ যখনই সঙ্কটে পড়েছে আমরা এগিয়ে এসেছি সে কোভিড হোক বা অন্য কোন ঘটনা। যারা এই কুৎসা ছড়াচ্ছে তাদের ছাত্র সংগঠন এবং অন্যান্য সংগঠন গুলো এই পড়ুয়াদের পাশে নেই। তারা এখন ব্যস্ত মানুষে মানুষে ভাগ করতে। এই সব আমাদের দেশের মানুষকে এক থাকতে হবে। লড়াই সাম্প্রদায়িকতা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment