River Erosion

নদীর গ্রাসে জমি সহ ভিটেমাটি, ক্ষোভ তুফানগঞ্জে

জেলা

পাড় ভাঙছে গদাধর নদীর। ছবি- অমিত কুমার দেব

প্রতিনিয়ত পাড় ভাঙছে গদাধর নদীর। আর এই ভয়াবহ নদী ভাঙনে এই মুহূর্তে সীমাহীন সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ ১নং ব্লকের চিলাখানা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জায়গীর চিলাখানা বসপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই আবাদি জমি সহ বড় অংশের বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে এই নদীগর্ভে। এই মুহূর্তে গদাধর নদীর জলস্তর কমতে শুরু করেছে, আর এর মধ্যেই ব্যাপক আকার ধারণ করেছে এই পাড় ভাঙন। অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এই এলাকায় স্থায়ী পাড় বাঁধ নির্মাণ করা না হলে এই নদী ভাঙনের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই এই ভাঙন কবলিত এলাকার অসহায় মানুষদের দাবি অবিলম্বে ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পাথরের বাঁধ নির্মাণ করুক প্রশাসন।
পরিস্থিতি এমন যে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করা না হলে গোটা এলাকার অধিকাংশ আবাদি জমি সহ ভিটেমাটি সম্পূর্ণই বিলীন হয়ে যাবে এই নদীতে। এই ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই কিছুটা দূরে বাড়ি ঘর সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন এই এলাকার বাসিন্দারা। অনেকেই ভিটেমাটি হারিয়ে চলে গিয়েছেন অন্যত্র। আর যারা অত্যন্ত দরিদ্র, তারা কার্যত বাধ্য হয়েই মাটি কামড়ে পড়ে আছেন এই নদীর পাড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছরের নিয়ম করে ভাঙন দেখা দেয় এই গদাধর নদীতে। বর্তমানে এই নদী ভাঙন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নদী ক্রমশ ধেয়ে আসছে বসতির দিকে। আর তাই বাস্তুভিটে হারানোর ভয়ে দিশেহারা বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট এলাকায় বোল্ডারের পাড় বাঁধের দাবিতে একাধিকবার প্রশাসনের, জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েছেন। বছর তিনেক আগে বোল্ডারের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও মাঝপথেই তা থমকে যায়।আজও পুনরায় শুরু হয়নি এই বাঁধের কাজ। 
এদিকে, নদীভাঙনের বিষয়টি প্রশাসনের অজানা নয়। এলাকায় বিধায়ক থেকে শুরু করে বিডিও, সেচ দপ্তরের আধিকারিক কিংবা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। একাধিকবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন তাঁরা, কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। 
জানা গিয়েছে, এই ভাঙন আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে গত দুদিন যাবৎ। কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার দুই শতাধিক পরিবারের। গত ২৪ঘন্টায় বেশ কয়েক বিঘা আবাদি জমি চলে গেছে নদী গর্ভে। শনিবারও অব্যাহত রয়েছে এই নদী ভাঙন।

Comments :0

Login to leave a comment