গল্প
পাঁপড় ভাজা
সৌরীশ মিশ্র
নতুনপাতা
বাবার সাথে রথের মেলা ঘুরতে এসেছে ছোট্ট কাঁকণ। প্রতি বছর এই বিশাল মাঠটাতেই বসে রথের মেলা। কত রকম জিনিসের যে পসরা সাজিয়ে বসে দোকানদাররা তার ইয়ত্তা নেই।
মেলায় ভালই ভিড়। আজই শুরু হয়েছে মেলা। আজই যে রথযাত্রা।
অনেকক্ষণ এসেছে কাঁকণরা। ঘোরাঘুরি প্রায় শেষ। কাঁকণের কেনাকাটাও কমপ্লিট। বাবার কাছে আবদার করে একটা লুডো আর বাড়িতে ওর যে অ্যাকোরিয়ামটা আছে সেটার জন্য দুটো গোল্ড ফিশ কিনেছে কাঁকণ। আর, এই ঘোরাঘুরি, কেনাকাটার মাঝে এক প্যাকেট পপকর্ন-ও খেয়েছে ও, ওর বাবার সাথে ভাগ করে। কাঁকণ ভীষণই খুশি তাই। তবে, মেলায় এতো হাঁটাহাঁটিতে ক্লান্তও হয়ে পড়েছে কিছুটা এখন সে। তাই, বাবার হাতটা ঝাঁকিয়ে কাঁকণ বলল, "বাপি, এবার আমরা বাড়ি যাব, তাই না?"
"হ্যাঁ যাব। কিন্তু, কি একটা ভুলছি যেন! ওঃহো, মনে পড়েছে। চল্, পাঁপড় ভাজা খাই। না হলে, রথের মেলা আসার এনজয়মেন্টটাই যে ইনকমপ্লিট থেকে যাবে।"
"ঠিক বলেছো বাপি। আমি তো ভুলেই গেছিলাম পাঁপড় ভাজা খাওয়ার কথা। একটা বড় মিসটেক হয়ে যাচ্ছিল আমাদের, তাই না বাপি?"
"তা হচ্ছিল বটে। চল্ তবে, হতে চলা ভুলটা শুধরে নিই এক্ষুনি। আরে, ঐ দ্যাখ, ঐখানেই তো পাঁপড় ভাজা বিক্রি হচ্ছে রে। দেখেছিস, কেমন ছেঁকে ধরেছে সবাই দোকানিকে।"
"তাই তো! তাড়াতাড়ি চলো বাপি।"
বাবার হাত ধরে পাঁপড় ভাজার দোকানের দিকে পা বাড়ায় কাঁকণ।
কাঁকণ প্রায় লাফাতে-লাফাতে চলছে এখন।
গরম-গরম পাঁপড় ভাজা খাবে ও একটু বাদেই, এই ভাবনাটাই যেন ওর সমস্ত ক্লান্তি মুছিয়ে দিয়েছে পুরোপুরি নিমেষের মধ্যে।
Comments :0