kalna

কাজের নাম করে গুজরাটে নির্যাতন কালনার কিশোরকে

জেলা

গুজরাটে নিয়ে গিয়ে কালনার এক নাবালককে মারধরের অভিযোগ। অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে কালনা থানায়। মাসে সাড়ে তিন হাজার টাকা মাইনে দেওয়ার কথা বলা হলেও দু বছরে একটি পয়সাও ওই মালিক দেয়নি বলে অভিযোগ। মারধরে অসুস্থ নাবালককে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কালনা থানার অন্তর্গত সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উপলতি গ্রামের ক্ষেতমজুর বিষ্ণু দুর্লভ তাঁর ১২ বছর বয়সী ছেলে গণেশ দুর্লভকে বছর দুয়েক আগে অর্থনৈতিক অনটনের কারণে গুজরাটের রাজকোটে সিটি গোল্ডের কাজে পাঠিয়ে দেয়।
বিষ্ণু দুর্লভের অভিযোগ, ‘‘তার ছেলেকে মাসে সাড়ে তিন হাজার টাকা বেতন দেবে বলে সেখানে নিয়ে যায় কালনা থানার শিকারপুর গ্রামের হাপাল মল্লিক। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর কোন বেতন তো দেয়নি। এমনকি বিভিন্ন সময়ে তার উপর নির্মমভাবে শারীরিক অত্যাচার চালায় হাপাল মল্লিক। এক সহৃদয় ব্যক্তির সহযোগিতায় তার ছেলে রাজকোট থেকে রবিবার বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে সমস্ত ঘটনা যানায় আমাদের। দেখা যায় ছেলের সারা শরীর মারের গালসিটে দাগ। চরম প্রহারে ছেলে অসুস্থ হওয়ায় তাকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।’’ খবর পেয়ে বুলবুলি থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে। 
বিষ্ণু দুর্লভ জানিয়েছেন, চার ছেলেমেয়ে সহ স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালাতে তার খুবই কষ্ট হয়। খেতমজুরের কাজ করি সংসারে অভাব রয়েছে। তাই মেজো ছেলেকে রোজগারের জন্য রাজকোটে পাঠাতে বাধ্য হয়েছি। কারণ আমাকে বলা হয়েছিল ছেলেকে গুজরাটে নিয়ে কাজ শেখাব, নিজের ছেলের মতো করে রাখবো। কিন্তু তা করেনি ওখানে নিয়ে গিয়েই মারধর করেছে, অত্যাচার করেছে, কথাও বলতে দেয়নি। এক জনের সাহায্যে হাওড়া আসলে আমরাই বাড়ি নিয়ে আসি। ওই নাবালকের মা জানায়,‘‘ অভাবের সংসার তাই ছেলেকে কাজে পাঠিয়েছিলাম। তার উপর এমন অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন হবে ভাবতেও পারিনি। মাসে সাড়ে তিন হাজার টাকা মাইনে দেওয়ার কথা বলা হলেও দু বছরে একটি পয়সাও ওই মালিক দেয়নি।’’ ওই মালিকের যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই নাবালকের পরিবার।

Comments :0

Login to leave a comment