ডিসেম্বর মানেই বড়দিনের উৎসব। জমকালো শীতে প্রত্যেকের মধ্যে আলাদা এক অনুভূতি। বিশেষ করে ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিন কে কেন্দ্র করে উৎসবের মেজাজে ফেরেন অনেকেই। আর বড়দিন মানেই রকমারি কেকের সমাহার। পাড়ার মুদি দোকান থেকে শুরু করে এলাকার বড় দোকান সর্বত্রই এখন রকমারি কেকের আলাদা চাহিদা। শুধু যে দোকানেই কেকের সমাহার তা কিন্তু নয়, পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়িতে তৈরি হচ্ছে কেক। আর সব ধরনের রকমারি কেক পেয়ে খুশি ক্রেতারাও।
মালবাজার শহর সহ পার্শ্ববর্তী চা বলয়ের বিস্তীর্ণ অংশে ডিসেম্বর মাসের গোড়া থেকেই কেক আসতে শুরু করেছে। বছরের একটি বড় সময়ে জন্মদিনের মতন অনুষ্ঠানে কেকেরে চাহিদা থাকলেও বড়দিন বা ক্রিসমাসের প্রাক্কালে কেকের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। নামিদামি কোম্পানির পাশাপাশি স্থানীয় বেকারির কেকের চাহিদাও থাকে। সাম্প্রতিক সময়কালে ঘরে তৈরি রকমারি কেকের চাহিদাও এখন তুঙ্গে। ক্রেতাদের অনেকেই এখন ঘরে তৈরি কেক কিনতে বেশি আগ্রহী।
মালবাজার শহরের আদর্শ কলোনির যুবতী শ্রেয়সী দাস, সাইলি চা বাগানের যুবতী প্রিয়াঙ্কা সরকার প্রমুখরা এখন ব্যস্ত কেক তৈরিতে। রকমারি ফলের রস, আবার রসমালাই সহযোগে তৈরী কেক, পাশাপাশি খেজুর গুড় ও নলেন গুড়ের তৈরী কেকের চাহিদা ক্রেতাদের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি রকমারি ফ্রুট কেক, প্লাম কেক, ওয়ালনেট কেকও বেশ নজর কারছে ক্রেতাদের মধ্যে। শহরের বিভিন্ন দোকানগুলিতেও রকমারি কেক সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কেক কিনতে ক্রেতা সমাগম দেখা যাচ্ছে। বাড়িতে তৈরি রকমারি কেকের চাহিদাও এখন অনেকটাই বেশি। বড়দিনের প্রাক্কালে জমে উঠেছে কেকের চাহিদা। শ্রেয়সী দাস,পিয়াংকা সরকার প্রমূখ জানালেন, " বড়দিনের প্রাক্কালে রকমারি ফ্রুট কেক, খেজুর গুড় ও নলেন গুড়ের তৈরী কেকের চাহিদা রয়েছে। তবে ডিম কেক তৈরির অন্যতম একটি উপাদান। গত কয়েকদিনে ডিমের দাম বাড়ে যাওয়ায় চিন্তা বেড়েছে। তবুও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কেক তৈরি করছি"।
বড়দিন মানে এই সময় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কেকের কারখানা গুলিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কর্মীদের ব্যস্ততা। বড়দিনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে পুরুলিয়া। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ততা তুঙ্গে কেক কারখানাগুলিতে। পুরুলিয়ার কেক প্রস্তুতকারকরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে কেকের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায়। ক্রিসমাসের আগের সপ্তাহে বিক্রি থাকে তুঙ্গে। দামও জনসাধারণের নাগালের মধ্যে ছোট কেক ৩০ টাকা থেকে শুরু করে বড় সাইজের কেক ২০০ টাকা পর্যন্ত বিকোচ্ছে। রোল কেক, প্যাসটি কেক, ফ্রুট কেক এমন নানা স্বাদের কেক তৈরি হচ্ছে। জেলার তৈরি কেক স্বাদ ও গন্ধে আলাদা পরিচিতি রয়েছে। তাই শুধু জেলার মধ্যেই নয়, জেলার বাইরেও এই কেকের চাহিদা বাড়ছে। অন্য সময় ২০-২৫ জন কর্মী দিয়ে কাজ চললেও এই সময় কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১২০-২৫ এ পৌঁছেছে। উৎসবের এই সময়েই বহু কর্মী কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। কেকের চাহিদা বাড়ায় দিন-রাত এক করে চলছে কেক তৈরির কাজ।
Comments :0