গরুমারায় চোরাশিকারিদের উপদ্রবের আশঙ্কায় গণ্ডার রক্ষা সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করেছে বন দপ্তর। স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয়েও জোর দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, গরুমারায় একশৃঙ্গ গণ্ডার আবারও চোরাশিকারিদের নিশানায়। এমন সতর্কবার্তা পেয়ে তৎপর হয়েছে বন দপ্তর। বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা।
সম্প্রতি আসামের কাজিরাঙ্গায় চোরাশিকারিদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়। তারপরই গরুমারায় এই সতর্কতা।
সূত্রের খবর, আসামে অভিযান ব্যর্থ হওয়ায় চোরাশিকারিরা এ রাজ্যের গরুমারা কিংবা জলদাপাড়ায় হামলা চালাতে পারে।
উল্লেখ্য, কাজিরাঙ্গা, মানস সহ বিভিন্ন বনাঞ্চলে ভালো সংখ্যায় দেখা মেলে একশৃঙ্গ গণ্ডারের। তুলনায় সংখ্যা কম হলেও এরপরই রয়েছে উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও গরুমারা অভয়ারণ্য। সারা বছর হাতি বাইসনের পাশাপাশি একশৃঙ্গ গণ্ডার দেখতে এই সমস্ত বনাঞ্চলে দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক ভিড় জমান।
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এই বনাঞ্চলে বনগোষ্ঠীতে বসবাস করেন বিভিন্ন জনজাতির মানুষ। স্থানীয়দের বড় অর্থের প্রলোভনও দেখায় চোরাশিকারিরা।
গরুমারার ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন জানান, “২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলছে। বনকর্মী, পুলিশ, প্রশিক্ষিত কুকুর অরল্যান্ডো এবং কুনকি হাতির সাহায্যে চলছে তল্লাশি।”
অতি সম্প্রতি গরুমারা সাউথ রেঞ্জের বনকর্মীরা পুলিশ ও অরল্যান্ডোকে সঙ্গে নিয়ে সংলগ্ন বনবস্তিতে তল্লাশি চালান। সন্দেহজনক কিছু দেখলেই বন দপ্তরকে জানাতে বলা হয়েছে স্থানীয়দের।
এডিএফও রাজীব দে জানান, “গভীর জঙ্গলে কুনকি হাতির সাহায্যে পৌঁছানো হচ্ছে। কেউ সন্দেহজনক আচরণ করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে গরুমারার জিরো বাঁধ ও রামসাইয়ের চর অঞ্চলে। বন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে এই এলাকা দিয়েই এসেছিল গণ্ডার হত্যাকারীরা।
গণ্ডার রক্ষায় দিনরাত এক করে কাজ করছেন বনকর্মীরা। স্থানীয়দের সহযোগিতাই হতে পারে এই লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
স্থানীয়দের সঙ্গে বনকর্মীদের সমন্বয়ে জোর দিচ্ছে বন দপ্তর।
Poaching Alert Gorumara
আসামের পর চোরাশিকারিদের শঙ্কা গরুমারায়, জারি সতর্কতা

×
Comments :0