শুভাশিস দেব সরকার
গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটিয়েছিল পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার। রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার সেই বাংলাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। রাজ্যের মানুষ প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন, নতুন করে ভরসা দেখাচ্ছেন।
রবিবার, হাওড়ার ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’র সমাপ্তি সমাবেশে বালি দুর্গাপুর সমবায় পল্লীতে এই বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
সুজন চক্রবর্তী বলেন নতুন করে বাংলাকে গড়ে তুলতে , লুটেরাদের হাত থেকে বাংলা কে রক্ষা করতে সারা রাজ্য জুড়ে বাংলা বাঁচাও যাত্রা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করতে বামপন্থীরা জনগণকে সাথে নিয়ে লড়াই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিন সভায় ছিলেন সিপিআই(এম) হাওড়া জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ, পার্টি নেতা উত্তম বেরাও। সভাপতিত্ব করেন সিপিআই(এম) নেতা গৌতম হালদার।
শনিবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থেকে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’ শুরু হয়ে শনিবার রাতে সালকিয়ায় রাত্রিবাস করে রবিবার সকালে সালকিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে বেলগাছিয়া, চক পাড়া, লিলুয়া, বেলুড়, বালি হয়ে বালি গ্রামাঞ্চলে দুর্গাপুর সমবায় পল্লীতে শেষ হয়। বাংলা বাঁচাও যাত্রার যাবার পথে বহু জায়গায় সম্বর্ধনা জানান সাধারণ মানুষ। যাত্রা শেষে দুর্গাপুর সমবায় পল্লীতে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সুজন চক্রবর্তী বলেন রাজনীতি র নাম করে মানুষ কে বোকা বানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। এই দুই দলকে সমর্থন করে রাজ্যবাসী বুঝতে পারছেন তাদেরকে ঠকানো হয়েছে। এসআইআর’র নাম করে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। বামপন্থীরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে কোন প্রকৃত ভোটারের নাম যেন বাদ না যায়। কিন্তু এসআইআর এর নাম করে যোগ্য মানুষের নাম বাদ দিতে চায় বিজেপি।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যে সর্বত্র দুর্নীতি চলছে। অবাধে চলছে তোলা বাজি। এখানে কাজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে অন্য রাজ্যে কাজের সন্ধানে চলে যাচ্ছেন যুবকেরা। বহু গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। বামপন্থীরাই পারে দুর্নীতি মুক্ত বাংলা গড়ে তুলতে।
দিলীপ ঘোষ বলেন হাওড়া জেলার হাওড়া কর্পোরেশন, বালি পৌরসভার নির্বাচন না করে শুধুমাত্র নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে প্রশাসক নিয়োগ করে চালানো হচ্ছে। নির্বাচিত পৌর বোর্ড না থাকায় পৌর পরিষেবা তলানিতে এসে ঠেকেছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, হাওড়া জেলায় ইতিমধ্যে পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখান ববন্ধ করে দিয়েছে সরকার। কাজ হারিয়ে নতুন করে বেকার হয়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। তিনি বলেন প্রতি দিন মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে।
Comments :0