mathabhanga

ফিরিয়েছে বিএসএফ, নিচ্ছে না বাংলাদেশও, মাঝে আটকে ১৬

জেলা

জয়ন্ত সাহা

বিএসএফ অনুপ্রবেশকারী বলে ফিরিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি আবার তাঁদের ভারতীয় নাগরিক বলছে। অভিযোগ, মহিলা সহ প্রায় ১৬ জনকে ফের  ভারতে পাঠাতে চাইছে বিজিবি। বিজিবি এবং বিএসএফ’র দু’বার আলোচনা হলেও বিষয়টির মীমাংসা হয়নি।
কোচবিহারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শিতলকুচির দুই জায়গায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। যার জেরে এই এলাকার কৃষকদের কাজের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। 
এমনিতেই কোচবিহার জেলায় সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে প্রায় প্রতিদিনই ঝামেলা চলে। কখনো কখনো ভারতের কৃষককে জমিতে কাজ করার সময় তুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আবার কখনও দল বেঁধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ ঘিরে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। আবার কখনো বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা বিএসএফ’র জওয়ানদের ওপর চড়াও হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। 
গত সপ্তাহে মেখলিগঞ্জের পর এদিন শিতলকুচির সীমান্ত এলাকার দুই জায়গায় বিজিবি পুশব্যাকের চেষ্টা করে।
বুধবার সকাল আটটা নাগাদ  শিতলকুচি ব্লকের খলিসামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পশ্চিম সাঙ্গার বাড়ি সীমান্ত এলাকায় একটি দল বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সকাল আটটার দিকে ভারতীয় কৃষকরা কাঁটাতারের ওপারে নিজেদের জমিতে কাজ করতে যান। সেই সময় তাঁরা দেখেন যে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজনকে ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করছে বিজিবি। এই কৃষকরা বিএসএফ-কে ঘটনাটি জানান।  বিএসএফ অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে। 
বিএসএফ জানিয়েছে, তিন মহিলা, ১৩ পুরুষ সহ মোট ১৬ জন বাংলাদেশীকে ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করছিল বিজিবি।
এদিকে এদিনই শিতলকুচির শালবাড়ি সীমান্ত এলাকায় আরও ৮ অনুপ্রবেশকারীকে ভারতে ফেরানোর চেষ্টা করে বিজিবি। তবে তা আটকে দেয় বিএসএফ। 
বিএসএফ জানিয়েছে সারাদিনে বিজিবি-র সঙ্গে দু’বার ফ্ল্যাগ মিটিং হলেও সমস্যার সমাধান হয় নি। বিজিবি-র দাবি, দুই সীমান্তের মাঝে আটকে থাকা মানুষ ভারতীয় নাগরিক। দুই বাহিনীই সমস্ত বিষয়টি নিজের নিজের ওপর মহলে জানিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পরেই বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ভারতীয় কৃষকদের জমিতে কাজ বন্ধ করিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। বলা হয়, এলাকায় শান্তি না ফেরা অব্দি ওই জমিতে কেউ কাজে যেতে পারবেন না। এই ঘটনায় চিন্তায় কৃষকেরা।
মেখলিগঞ্জ মহকুমাতেও সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ, বাংলাদেশী দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম বেড়ে চলেছে।

Comments :0

Login to leave a comment