Prepaid Smart Meters

স্মার্ট মিটারের বিরুদ্ধে বর্ধমানে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন

জেলা

সিআইটিইউ, বস্তি সংগঠন ও সিআইটিইউ অনুমোদিত বিদ্যুৎ সহায়ক ইউনিয়ন ও বিদ্যুৎ ওয়ার্কমেন্স ইউনিয়নের উদ্যোগে শুক্রবার কোর্ট কম্পাউন্ড সংলগ্ন বিদ্যুৎ দপ্তরে (সেক্টর-২) ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রায় ৩০০ সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকের অসম্মতি জানিয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। স্টেশন আধিকারিক আবেদনপত্র নিতে চাইছিলেন না। কার্যত এই ৩০০ আবেদন পত্র জমা নিতে বাধ্য করেন গ্রাহক’রা। স্মার্টমিটার নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ নেতৃত্ব দেবদুলাল ঠাকুর, সোহম ঘোষ ,বিদ্যুৎ ইউনিয়নের নেতৃত্ব খাইরুল ইসলাম, বস্তি সংগঠনের পক্ষ থেকে সত্যজিৎ ভট্টাচার্য। সভা পরিচালনা করেন অতনু হুই। 
শ্রমিক নেতৃত্ব বলেন, বিদ্যুৎ বেসরকারিকরণের নামে কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এই স্মার্ট মিটার বসাচ্ছে। বিদ্যুৎ আইন ২০০৩ পরিষ্কার উল্লেখ আছে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বাধ্যতা মূলক নয়। বিদ্যুৎ দপ্তর প্রাইভেট এজেন্সিকে দিয়ে ভুল বুঝিয়ে, কিছু কিছু গরিব এলাকায় জোরপূর্বক এই প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসাচ্ছে। বিদ্যুতের বিল নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় স্মার্ট মিটারের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের। ইতিমধ্যেই বর্ধমান শহরে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ গড়ে উঠছে। এই স্মার্ট মিটার চালু হলে কাজ হারাবে হাজার হাজার ঠিকা শ্রমিক। স্থায়ী কর্মীদেরও চাকুরীর নিশ্চয়তা থাকবে না। বিদ্যুৎ একটি পরিষেবা ক্ষেত্র। এই সিস্টেম চালু হয়ে গেলে এখন আপনি যা বিল পেইমেন্ট করছেন তার থেকে তিন চারগুণ বেশি বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে। নেতৃত্ব আরোও বলেন, এই মিটার খারাপ হলে গ্রাহককে টাকা দিয়ে পাল্টাতে হবে। কৃষি খরচ বাড়বে, শিল্পে খরচ বাড়বে। এর ফলে সব জিনিসের দাম বাড়বে। প্রতিনিধিদল ডেপুটেশন থেকে ফিরে এসে যা আলোচনা করেন গ্রাহকদের কাছে তুলে ধরেন। এদিন স্টেশন ম্যানেজারকে হুশিয়ারি দেওয়া হয় যদি বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিনা অনুমতিতে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানো হয় ঘেরাও হবে বিদ্যুৎ দপ্তর। এর বিরুদ্ধে গণ স্বাক্ষর করে পাওয়ার হাউস পাড়া জোনাল অফিসে যাবার বার্তা দেওয়া হয়। ১৪ মে সেক্টর ৩ এ প্রায় ২৫০ আবেদন জমা পড়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment