Trump Meets Antisemitist Fuentes

ইহুদিবিদ্বেষী ফুয়েন্টেসের সঙ্গে বৈঠক ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক

Trump Meets Fuentes Accused of Anti-Semitism

তিনি নিজেই বিদ্বেষ ছড়াতে ব্যস্ত থাকেন বরাবর। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে, কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে তো বটেই, রাজনৈতিক বিরোধীদের তুমুল আক্রমণে থমকে দিতে সচেষ্টও থাকেন। সেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার বৈঠক করলেন ঘোষিত ইহুদি বিদ্বেষী নিক ফুয়েন্টেসের সঙ্গে। ট্রাম্পের মার আ লোগো প্রাসাদে নৈশভোটে হাজির ছিলেন ফুয়েন্টেস। 

দিন সাতেক আগেই প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন ফের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান তিনি। রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নিজের নাম ঘোষণা করেছেন। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এবারের নির্বাচনে বিদ্বেষ আরও গভীর করে প্রচারে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প। 

ট্রাম্প নিজে যদিও দাবি করেছেন ফুয়েন্টেসের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল না। মার্কিন সংবাদ প্রতিষ্ঠান ‘পলিটিকো’ জানিয়েছে ট্রাম্প নিজের সোশাল মিডিয়ায় এই মর্মে পোস্ট করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, র‌্যাপার কানিয়া ওয়েস্টের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার কথা ছিল। নৈশভোজে অতিথি ছিলেন র‌্যাপ শিল্পী। ওয়েস্টই সঙ্গে করে নিয়ে আসেন তিনজনকে যাঁদের তিনি আগে থেকে চিনতেন না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি ডিফেমেশন লিগের প্রধান আধিকারিক জোনাথন গ্রিনব্ল্যাট ‘গার্ডিয়ান’-কে জানিয়েছেন এই বৈঠক ঘিরে আশঙ্কা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। ইহুদি বিদ্বেষই কেবল নয়, ফুয়েন্টেস কৃষ্ণাঙ্গবিরোধী, পুরোদস্তুর বর্ণবিদ্বেষী। বহু মন্তব্য বিভিন্ন সময় তিনি কেরছেন, একবারের জন্য ক্ষমা চাননি। নিজেকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণ করার পর ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠককে ‘আচমকা’ বলে মেনে নেওয়া কঠিন। আমেরিকায় সামাজিক বিদ্বেষ আরও তীব্র করার রাজনৈতিক অভিযান শুরু হতে পারে। 

একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির একাংশও এই বৈঠকে আপত্তি জানিয়েছেন। ফুয়েন্টেস নারীবিদ্বেষীও। শ্বেতাঙ্গ জাত্যাভিমানের পক্ষে সরাসরি প্রচার করেন। ট্রাম্পের সমর্তনের প্রধান ভিত্তি আয়ের দিক থেকে নিচের স্তরে থাকা শ্বেতাঙ্গরা।  

২০০৮ থেকে অর্থনৈতিক অধোগতির পর্বে ট্রাম্পের মতো বিদ্বেষী প্রচারকরা বিভিন্ন দেশেই জনপ্রিয় হয়েছেন। বিশ্বায়ন বা উদার অর্থনৈতিক নীতিকে আড়াল করে এই অংশ সঙ্কটের জন্য মেহনতিরই অন্য অংশকে ‘শত্রু’ বানিয়ে তুলতে দক্ষ। ২০২২-এ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। তার আগে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার বিপক্ষে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ ঢেউ তুলেছিল আমেরিকার রাস্তায়। কেবল কৃষ্ণাঙ্গরা নন, সমাজের অন্য অংশও শামিল হয়েছিল আন্দোলনে।   

Comments :0

Login to leave a comment