BJP TMC

বিজেপি বিধায়কের প্যাডে তৃণমূলের নতুন কমিটি !

রাজ্য জেলা

বিজেপির প্যাডে তৃণমূলের জেলা কমিটি গঠিত। জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য। কেউ বলে ভুল হয়েছে কেউ বলে মুদ্রার এপিট ওপিট। বড় ফুলের কোলে ছোট ফুল দোলে নিছক কোন কথার কথা নয়। এক্কেবারে হাতে কলমে ধরা পরেছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়। 

কে তৃণমূল নেতা? আর কেইবা বিজেপি নেতা? ভোট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই ধাঁধায় সাধারণ মানুষ। বারবার বামপন্থীরা দাবী করে আসছে, যে তৃণমূল সেই বিজেপি। এবার তা হাতে না হাতে প্রমান পাওয়া গেলো কালিয়াগঞ্জে। বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়ে প্যাডে প্রস্তাবিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কলেজের ইউনিট কমিটির সদস্যদের নাম। এমনকি এই তালিকার নীচে রয়েছে স্বাক্ষর সিলমোহর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির । এবার এর থেকেই ঘটনায় কে বিজেপি আর কে তৃণমূল তা ধন্ধে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে।

রবিবার সকালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রন্তু দাস তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় জেলার একাধিক কলেজ ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম সন্মূখে কমিটির তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতেই স্পষ্ট কলেজের পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। বিষয়টি নিয়ে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর। সেই সময় তৃণমূলের অলিন্দে ছিলেন কালিয়াগঞ্জের দলবদলু বিধায়ক সৌমেন রায়। ওই তারিখে নিজের বিধায়ক প্যাডে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল সমর্থিত কালিয়াগঞ্জ কলেজ ইউনিটের ২১ জনের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি পাঠান। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে ফের বিজেপিতে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। গেরুয়া শিবিরে চলে যাওয়ার এক মাস কাটতে না কাটতেই তার প্রস্তাবিত কমিটিতেই সিলমোহর দিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ।

সিপিআই(এম) নেতা দেবাশীষ পাট্টাদার বলেন, ‘এতো আজ নতুন কিছু নয়। আরএসএস এর নাগপুর স্কুলের ছাত্র এই দুই দল। বিজেপি ও তৃণমূল একে অন্যের পরিপুরক। নির্বাচনী বন্ডেও দুজনের তালিকায় মিল আছে। দীর্ঘদিন ধরেই এদের সখ্যতা রয়েছে। এবারের লোকসভা ভোটে টের পাবে। এ রাজ্যে খাল কেটে কুমির নিয়ে এসেছে মমতা ব্যানার্জি। বাংলার মানুষও প্রস্তুত এদের রাজনৈতিক ভাবে যোগ্য জবাব দিতে।’ 

Comments :0

Login to leave a comment