প্রতীম দে ও অরিজিৎ মণ্ডল
'নবজাগরণের বাংলায় আঁধার আজ‘। অস্থায়ী মঞ্চের পিছনে লেখা ব্যানারে ছবি রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথের। আর সামনে বিশাল জনতা। পার্ক স্ট্রিট, হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে এসেছে তিন মিছিল ছাত্র-যুব-মহিলাদের ডাকে। নেতৃত্ব বলেছেন, রামমোহন, বিদ্যাসাগরের বাংলায় এই অন্যায় চলবে না।
সভায় এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘‘তিলোত্তমার রক্তর স্রোতে মানুষের স্রোত মিশে গিয়েছে। এক মাসের বেশি লড়াই চলছে। যে মানুষ সরকার গঠন করেছে তাঁদের কথা না শুনে সরকার দায়বদ্ধ থেকেছে সন্দীপ ঘোষদের প্রতি। ২০১১ সালের পর থেকে ক্যাম্পাস গুলোর থ্রেট সিন্ডিকেট তৃণমূল চালিয়েছে। আজ মহিলারা নিরাপদ নয়, সরকার ব্যর্থ নিরাপত্তা দিতে। দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘মানুষ যখন পথে নেমেছে তখন সরকারের হাঁটু কাঁপছে। যারা প্রতিবাদ করছে তাদের মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলে পুরছে। বাংলার প্রশাসন শেষ করে দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস গুলোকে সমাজবিরোধীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দম থাকলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করুক সরকার। নির্বাচন হলে এই সিন্ডিকেটের মাতব্বররা আর ভিতরে থাকবে না। ’’
তিনি বলেন, ‘‘দাবি ছিনিয়ে তারপর এই আন্দোলন থামবে। কারণ আমরা তিলোত্তমার বন্ধু।’’
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ বোস বলেন, ‘‘আজকে বিদ্যাসাগরের জন্মদিন, আগামীকাল রাজা রামমোহন রায়ের প্রয়াণ দিবস। তাঁদের স্মরণ জানিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বাংলার নবজাগরণের পথিক এঁরা। আজ মহিলারা পথে নেমেছে বিচারের দাবিতে। ২০১১ সালের পর থেকে মানুষদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। চুপ করে থাকতে বলা ছিল। তিলোত্তমার বিচার চাইতে তিলোত্তমার মায়ের নেমেছে, বোনেরা নেমেছে। একে কাজ নেই তার ওপর কর্ম সংকোচন করতে চাইছে সরকার। বিজেপির সাথে এই সরকারের কোন পার্থক্য নেই।’’
বিজেপি-কে কড়া আক্রমণ করে মহিলা নেত্রী বলেন, ‘‘যারা গুজরাটে বিলকিস বানুর ধর্ষকদের মালা পরিয়েছে তারা এখন আর জি কর নিয়েনাকি আন্দোলন করবে!’’
26 SPTEMBER RALLY DHARMATALA
রামমোহন, বিদ্যাসাগরের বাংলায় এই অন্যায় চলবে না, ঘোষণা ধর্মতলায়
সমাবেশের মুখ। ছবি প্রিতম ঘোষ।
×
Comments :0