খুশিমতো শর্ত চাপাচ্ছিল সুদখোর মহাজনরা। ১০ একর জমি বেচেও ঋণের থেকে মিলছিল না রেহাই। মহাজনরাই আত্মহত্যায় বাধ্য করেছে রাজেশ কারোড়েকে। শুক্রবার এই অভিযোগ করেছে মধ্য প্রদেশে আত্মঘাতী কৃষকের পরিবার।
৭ জুন কীটনাশক গলায় ঢেলেছিলেন কারোড়ে। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল সরকারি হাসপাতালে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় হরদা জেলার দাগভশঙ্কর গ্রামের এই কৃষককে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
রাজেশের পুত্র বীরেন্দ্র কারোড়ে এদিন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন যে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা ছিল তাঁর বাবার মাথায়। মহাজনরা নিয়মিত তাগাদা দিত। তার জন্যই চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন। সুদের হার চড়িয়ে দিয়েছিল মহাজনরা। টাকা শোধ করতে ১০ একর জমি পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে। তবু ধার মেটেনি। চুয়াল্লিশ বছরের কারোড়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন।
Comments :0