ED SCAM INTERROGATION

পৌর নিয়োগের তদন্তে মিলেছিল রেশন দুর্নীতির সূত্র, চলছে জেরা

রাজ্য

খাদ্য দুর্নীতির সূত্র মিলেছিল পৌর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে। সে কারণে রেশন দুর্নীতির পাশাপাশি চলবে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। দক্ষিণ দমদম পৌরসভার প্রাক্তন প্রধান পাঁচু রায় এবং আইএএস আধিকারিক জ্যোতিষ্মান চ্যটার্জিকে সে কারণেই মঙ্গলবাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি দুই দুর্নীতির মধ্যে যোগসূত্র দেখতে চাইছে এভাবেই। ইডি’র বক্তব্য, ১৯ মার্চ পৌর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের সল্টলেকের দপ্তরে তল্লাশি থেকেই বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। কম্পিউটারের হার্ড ডেস্কে নথিও পাওয়া যায়। 

৫ অক্টোবর সল্টলেকে দুর্নীতির তদন্তে গতি বাড়ানোর দাবিতে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল সিপিআই(এম)। ওই দিনই পৌর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। বস্তুত একাধিক পৌর প্রধানের বাসভবনে তল্লাশি চলেছিল। পাঁচু রায়ের পাশাপাশি দক্ষিণ দমদমের বর্তমান প্রধান নিতাই দত্তের বাড়িতেও হয়েছিল তল্লাশি। 

মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন পাঁচু রায় এবং জ্যোতিষ্মান চ্যাটার্জি। এই আইএএস আধিকারিক ২০১৭ থেকে ২০১৯ পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে যুক্ত ছিলেন। ৫ অক্টোবর তাঁর সল্টলেকের ফ্ল্যাটেও দীর্ঘ তল্লাশি চালায় ইডি। 

অয়ন শীলের সংস্থা পৌর নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কাজে যুক্ত ছিল। শিক্ষক নিয়োগের মতো এই নিয়োগেও টাকার বিনিময়ে চাকরির অভিযোগ ইডি জানিয়েছে আদালতে। শিক্ষক দুর্নীতির তদন্তে নেমেই পৌর দুর্নীতির খোঁজ পান তদন্তকারীরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

খাদ্য দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের বনমন্ত্রী এবং প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হাসপাতাল থেকে হেপাজতে নিয়েছে ইডি। তাঁর আপ্তসহায়ক অমিত দে এবং প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের জেরা থেকে নতুন তথ্য পেতে চাইছে ইডি। খাদ্যমন্ত্রীর থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে রেশন দুর্নীতি ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কারণ সম্পর্কে। 

Comments :0

Login to leave a comment