প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা তাঁর ব্যক্তিগত। জন প্রশাসন পরিচালনার সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। এমনই যুক্তিতে নরেন্দ্র মোদীর স্নাতক ডিগ্রি সম্পরকে বিশদ তথ্য প্রকাশের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট।
নরেন্দ্র মোদী প্রার্থী হিসেবে দাবি করেন যে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক। এদিন আদালত জানিয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রীর স্নাতক ডিগ্রি সম্পর্কে বিশদ জানাতে হবে না।
আদালত আবার বলেছে, কোনও সরকারি পদের জন্য বিশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজনীয় হলে তা জানানো জরুরি। তবে জন প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তা জরুরি নয়।
কংগ্রেস বলেছে, তথ্যের অধিকার আইনে সংশোধন করে তাকে লঘু করা হয় ২০১৯ সালে। বিজেপি সরকারের মেয়াদে বারবার স্বচ্ছতার এই আইন লঘু করা হয়েছে। যার জেরে ছাড় পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য কেন ‘সম্পূর্ণ গোপন’ রাখতে হবে তা ‘একেবারেই বোধগম্য’ নয়।
কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় বারবারই প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের বিরোধিতা
করেছে আদালতে। ২০১৬-তে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন ১৯৭৮ সালের স্নাতকদের নথি খুঁজে দেখার অনুমতি দিয়েছিল। সেই নির্দেশ আটকাতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
এদিন হাইকোর্টের রায়ে তথ্য কমিশনের সেই নির্দেশ বাতিল হয়েছে।
BA Pass Modi
মোদীর বিএ পাশের নথি ‘ব্যক্তিগত’! হাইকোর্টে খারিজ সত্য খোঁজার আবেদন

×
Comments :0