ভারত-চীন-রাশিয়া পারস্পরিক সমন্বয় দৃঢ় করার অবস্থান নেওয়ায় সুর নরম করার ইঙ্গিত দিল আমেরিকা। সোমবার দিল্লির মার্কিন দূতাবাস বলেছে, নতুন নতুন উচ্চতায় উঠে চলেছে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক।
আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর পুরনো একটি বক্তব্য এদিন সোশাল মিডিয়ায় দিয়েছে দিল্লি দূতাবাস। রুবিও বলেছিলেন, ‘‘মানুষের অগ্রগতি এবং সম্ভাবনা চালিত করছে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ককে। উদ্ভাবন থেকে ব্যবসায়িক পরিচালনা, প্রতিরক্ষা থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, দু’দেশের মানুষের মধ্যে গভীর বন্ধন গড়েৃছে।’’
ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক চালু করে দিয়েছে আমেরিকা। তার মধ্যে ২৫ শতাংশ চাপানো হয়েছে রাশিয়ার থেকে তেল আমদানির ওজর তুলে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত আমেরিকার অনুগত নীতি নিলেও দেশের পক্ষে তা মোটেই লাভজনক হয়নি।
সোমবার চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মোদী। রবিবার বৈঠক করেছিলেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিঙের সঙ্গে। তিয়ানজিন ঘোষণাপত্রে সদস্য দেশগুলির সমন্বয় বাড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন টানা ভারতের বিপক্ষে একের পর এক প্রচার চালিয়ে গিয়েছে। ট্রাম্পের উপদেষ্টা পিটার নাভারো আবার রাশিয়ার থেকে তেল আমদানিতে ‘ব্রাহ্মণদের লাভ’ হওয়ার উদ্ভট কথাও বলেছিলেন। সেই অবস্থান ধাক্কা খেয়েছে ভারত-চীন-রাশিয়া সমন্বয় গভীর করার বার্তা দেওয়ার পরই।
US Embassy Delhi
চীন-রাশিয়া-ভারত বৈঠকের পর ‘গভীর বন্ধুত্বের’ পোস্ট আমেরিকার

×
Comments :0