রুহুল আমিন
আষাঢ় মাসের আজ আটদিন। তবু দেখা নেই বৃষ্টির। ফলে প্রচণ্ড দাবদাহে এবং গরমে মানুষের জীবন বাঁচা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রবিবার দুপুরে সিউড়ির তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গরমে চাহিদা বাড়ছে মাটির কলসির। গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত জেলার বাসিন্দাদের। বাড়িতে ফ্রিজ রয়েছে অনেকেরই। তবু মাটির কলসি বা কুঁজো ব্যবহারের চল বজায় রয়েছে।
জেলার গ্রামীণ হাটে দেখা মিলেছে মাটির কলসির। দুবরাজপুর ব্লকের করমকাল গ্রামের পরেশ পাল নিজে হাতে মাটির কলসি তৈরি করেন। তিনি প্রতি রবি ও বুধবার চিনপাই হাটে আসেন সেই কলসি বিক্রি করতে। তিনি জানালেন, গরম যত বাড়বে মাটির কলসির চাহিদা তত বাড়বে। একটি বড়ো কলসির দাম আশি টাকা এবং একটি ছোটো কলসি ষাট টাকা দামে বিক্রি হয়। হাটে মাটির তাওয়াও বিক্রি করেন পরেশ পাল।
দেখা যায়, মাটির পাত্রে রাখা প্রাকৃতিক নিয়মে ঠাণ্ডা জল খেলে সর্দি-কাশির ভয় থাকে না। মাটির কলসির গায়ে বহু ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। খালি চোখে এই ছিদ্রগুলি দেখা যায় না। ওই ছিদ্রগুলো দিয়ে জল চুঁইয়ে কলসির বাইরে চলে আসে। তারপর বাষ্প হয়। বাষ্প হওয়ার জন্য জলের যে তাপের দরকার, তা মাটির কলসির ভেতরের জল থেকে আসে। ফলে কলসির ভেতরের জলের তাপ কমে যায়, জল ঠাণ্ডা হতে থাকে।
মন্তব্যসমূহ :0