Post Editorial

বাঁচাও, জীবন-জীবিকা বাঁচাও, বাংলার অস্তিত্বের সঙ্কট

উত্তর সম্পাদকীয়​

দেবব্রত ঘোষ

স্কটিশ কবি ম্যাক ডায়ারমিড তাঁর এক লেখায় বলেছিলেন, ‘নিছক বেঁচে থাকার যে লড়াই তা শেষ হয়েছে... এখন শুরু সত্যের জন্য লড়াই আর লড়াই সেই বর্ণনাতীত প্রয়োজনের জন্য, যার নাম সৌন্দর্য।’ এই গভীর দর্শনের আলোকে আজ আমাদের প্রশ্ন—  নবজাগরণ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সংহতিতে যে বাংলা একদা দেশের পথপ্রদর্শক ছিল, সেই বাংলার সভ্যতা ও সৌন্দর্য কি আজ অক্ষত আছে?
বাংলার সৌন্দর্য কেবল প্রকৃতির অপরূপ শোভা বা একটি শিশুর হাসিতে সীমাবদ্ধ নয়। এই সৌন্দর্য হলো রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, ও সুভাষ বসুর মতো মনীষীদের গৌরবোজ্জ্বল অবদান, সংস্কারমুক্ত প্রগতিশীল শিক্ষার বুনিয়াদ, এবং সমাজে সংহতি ও সততার ভিত্তি— যা আজ চরম আক্রমণের মুখে। নবজাগরণের অন্যতম রূপকার রামমোহন রায়কে যখন বিজেপি’র মন্ত্রী মিথ্যা অপবাদ দেন, তখন ব্রিটিশদের দালালি করা আরএসএস’র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোই হলো সত্যের জন্য লড়াই। এই মনীষীরা সমগ্র ভারতবর্ষের সৌন্দর্যের প্রতীক; তাঁদের অস্বীকার, বিকৃত বা মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার সাহস যারা দেখায়, তাদের এই বাংলায় ঠাঁই দিয়ে বাংলার সৌন্দর্য রক্ষা হতে পারে কি?
শিক্ষা বাঁচাও
উনিশ শতকে বাংলার মনীষীরা আধুনিক শিক্ষার যে বুনিয়াদ তৈরি করেছিলেন, তা আজ চরম আক্রমণের শিকার। ১৯৭৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে গণমুখী শিক্ষার যে নতুন অভিমুখ তৈরি হয়েছিল, সেখানে সবার জন্য শিক্ষা, গ্রামীণ ও প্রান্তিক মানুষের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া এবং সামাজিক বৈষম্য কমানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। ‘একটি গ্রামও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না’—এই নীতিতে হাজার হাজার নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি হয় এবং প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক হয়, যা গ্রাম-শহরের প্রায় সকল পরিবারকে শিক্ষার আঙিনায় যুক্ত করেছিল।
কিন্তু ২০১১ সালের পরবর্তী সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্বে শিক্ষার কাঠামো ভেঙে পড়েছে। এসএসকে, এমএসকে সহ হাজার হাজার প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হয়েছে। যে স্কুলগুলি টিকে আছে, সেগুলির প্রায় ৩৫০০ টিতে মাত্র ১ জন শিক্ষক। ছাত্র সংখ্যা কমে গেছে ৩০ লক্ষের কাছাকাছি। এই বিপুল সংখ্যক শিশু বিদ্যালয়মুখী না হয়ে কি শিশু শ্রমিকে পরিণত হচ্ছে? এই ভয়ঙ্কর অবস্থায় যারা রাজ্যকে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের অধীনে থাকলে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হবে। স্কুল বাঁচাতে, শিক্ষার এই ধ্বংস রুখে এর পুনরুজ্জীবনের দাবিতেই আজ ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’ চলছে।
কর্মসংস্থান বাঁচাও
বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর আমলে কর্মসংস্থানের করুণ চিত্র দুটি প্রধান প্রবণতায় স্পষ্ট। প্রথমত, পরিযায়ী শ্রমিকের বৃদ্ধি। পশ্চিমবাংলা থেকে দলে দলে ছেলে-মেয়েরা আজ বাইরের রাজ্যে কাজের সন্ধানে চলে যাচ্ছে। ভালো কাজ বা আয়ের জন্য যাওয়া স্বাভাবিক হলেও, নির্মাণ শ্রমিক থেকে কৃষি কাজের মতো যে কাজগুলি বাংলায় পর্যাপ্ত ছিল, সেই কাজ এখানে না পেয়েও বাইরে যাওয়া গভীর উদ্বেগের বিষয়। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরাও ৮-১০ হাজার টাকার কাজের জন্য বাইরে পাড়ি দিচ্ছেন। বিজেপি ও তৃণমূলের যৌথ বোঝাপড়ায় রেগার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পর এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। অন্যদিকে, ২০১১ সালের পর রাজ্যে পূর্বতন শিল্প যা ছিল অর্থাৎ জুট, ইঞ্জিনিয়ারিং, চা শিল্প প্রবল সঙ্কটে, বহু বন্ধ হয়ে গেছে। চা বাগান অর্ধেক বন্ধ, ন্যূনতম মজুরি নেই, বিড়ি এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে সঙ্কট তীব্র হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিতে লক্ষ লক্ষ শূন্যপদ পূরণ করতে পারছে না সরকারি অপদার্থতা, চরম দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের কারণে। নতুন একটাও শিল্প হলো না। তাহলে ছেলে-মেয়েরা কাজ কোথায় পাবে ?
দ্বিতীয় প্রবণতাটি হলো, রাজ্য এখন দেশের অন্যান্য রাজ্যের কলকারখানায় উৎপাদিত পণ্যের ‘লজিস্টিক হাব’ বা ‘গোডাউনে’ পরিণত হয়েছে। আগে যেখানে আমাদের এখানে কারখানায় জিনিস উৎপাদিত হয়ে বাইয়ের রাজ্যে যেত, এখন ঠিক উল্টো চিত্র। এই গোডাউনগুলিতে যে সকল ছেলে-মেয়েরা কাজ করে, তা সবই অস্থায়ী, ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়, বেতন মাত্র ৮-১০ হাজার টাকা এবং তীব্র শোষণ বিদ্যমান। এই চিত্র থেকে পরিষ্কার—বাংলায় আজ আর কোনও কাজ নেই, কাজের বাজারে হাহাকার চলছে। তাই কাজের জন্য ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’ চলছে।
মাইক্রোফিনান্স হটাও
কাজ না থাকার জন্য গ্রামীণ মানুষের কাছে অর্থের যোগান হ্রাস পেয়ে চরম আর্থিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এই সঙ্কট থেকে বেরোনোর জন্য মানুষ দৈনন্দিন সংসার চালানো বা কৃষিকাজের মতো তুচ্ছ প্রয়োজনের জন্যও মাইক্রোফিনান্সের পাতা জালে জড়িয়ে পড়ছেন। চড়া সুদে ঋণ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে সুদ না দিতে পারলে এই ক্ষুদ্র ঋণের কারবারিরা অমানবিক অত্যাচার চালায়। জমি, বাসনপত্র, এমনকি দরিদ্র মানুষের সম্বল গোরু পর্যন্ত জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব সভ্য জগতে চলতে পারে ? বেআইনিভাবে এই সুদের কারবার চলবে কেন? কেন তাদের উপর সরকারের নির্দিষ্ট গাইডলাইন, নিষেধাজ্ঞা থাকবে না ? অসহায় মানুষের পাশে সরকার থাকবে না কেন? সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে প্রায় ধ্বংস করে এই কাজ চালাতে মদত দিচ্ছে সরকারই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। এই মাইক্রোফিনান্স কোম্পানিগুলোর থেকে নানানভাবে সাহায্য নেয় সরকার। নির্বাচনী ফান্ডে টাকা, এমনকি নির্বাচনের সময় গ্রামে গ্রামে মহিলাদের মধ্যে শাসক দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারও চালায়। মাইক্রোফিনান্সের এই জাল থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্যই চলছে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’।
এই বাংলার কৃষকরা এখন গতর খাটিয়ে সারাদিন পরিশ্রম করে ফসল ফলায়, তারপর সে ফসলের দাম পায় না, আবার নতুন ফসল ফলাতে ঋণ নিতে বাধ্য হন। সেই ঋণের টাকা শোধ না করতে পেরে ঘটি, বাটি বিক্রি করে দেয়, এমনকি আত্মহত্যাও করছেন। কৃষক যাতে তার এই দুর্দশার জন্য কে দায়ী তা বুঝতে না পারে তার জন্যই কৃষকদের সাহায্য করার নামে কৃষক বন্ধু, কৃষক সহায়তার নামে সরকার নানারকম গালভরা প্রকল্প তৈরি করেছে। অথচ প্রতিবছর সরকার সার, সেচ, বিদ্যুৎ, কীটনাশক ওষুধ প্রভৃতির দাম বৃদ্ধি করে, আর রাজ্যের শাসকদলের কর্তা-ব্যক্তিরা কৃষি ফসল কেনা-বেচায় ফোড়ে, দালালের ভূমিকা পালন করে। কৃষকদের কাছ থেকে সস্তায় ফসল কিনে সময়মত চড়া দামে বিক্রি করে। এজন্য কৃষক ফসলের দাম পায় না অথচ বাজারে এর দাম আকাশ ছোঁয়া। সারের কালোবাজারির রমরমা শাসক দলের কারসাজিতে।  একই সাথে খেতমজুররাও চরম বঞ্চিত, মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই, উলটে খেতমজুর সংগঠন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করলে স্থানীয় তৃণমূল নেতা, কর্মী এবং পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নানান হুমকি চলে। তাই বাংলা বাঁচাও যাত্রায় স্লোগান উঠেছে কৃষক বাঁচাও বাংলা বাঁচাও, খেতমজুর বাঁচাও বাংলা বাঁচাও।
নারীদের বাঁচাও
এই বাংলায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আজ প্রত্যেকটি পরিবার গভীর উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটায়। শাসক দল, সর্বোচ্চ স্তর থেকে বুথ পর্যন্ত তোলাবাজ, লম্পটদের দলে পরিণত হয়েছে। এদের একমাত্র লক্ষ্য আর্থিক মুনাফা ও ভোগবিলাস, আর দল চলছে পুলিশের মদতে। যেখানেই ধর্ষণ হয়েছে, সেখানেই রাজ্যের শাসক দলের নেতা বা কর্মীরা কোনও না কোনোভাবে জড়িত। তাই পুলিশের সাহস থাকে না ধর্ষকদের স্পর্শ করার। অভয়া কাণ্ডে লক্ষ লক্ষ মহিলারা দিনের পর দিন প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার পরেও আজও প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়েনি। নারী পাচারের ঘটনা এই বাংলার বেড়েই চলেছে। এই লম্পট, তোলাবাজদের সরকার থাকলে নারী নির্যাতন চলবে। তাই এই সরকারকে ধাক্কা দিতেই হবে, আর তাই বাংলার বাঁচাও যাত্রা চলছে মেয়েদের সম্মান বাঁচানোর জন্য।
তোলাবাজি-দুর্নীতি হটাও
বাংলা আজ তোলাবাজদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রধান পর্যন্ত - সকলে কোটিপতিতে পরিণত হয়েছে। ২৬ হাজার সাধারণ ছেলে-মেয়ের কাজ চলে যায় এই তোলাবাজির জন্য, অথচ টাকা তোলা ব্যক্তিরা নিশ্চিন্তে থাকে। তৃণমূল কংগ্রেস এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে, যেখানে যে নেতা যত বেশি অপরাধ করবে, সে তত বড় নেতা হবে। জেল খেটে আসার পরেও গলায় মালা পড়ে মানুষকে জ্ঞান দিচ্ছে, আর টিভি-খবরের কাগজ আবার তা প্রচারও করছে!। এই ধারা চলতে থাকলে একটি জাতি বাঁচতে পারে না, কারণ জাতির মেরুদণ্ড— শিক্ষা এবং সংস্কৃতি। সেই মেরুদণ্ডে ভেঙে দিচ্ছে।
হাল ছাড়লে হবে না, এই বিপুল দুর্নীতির জাল থেকে বাংলাকে বের করতেই হবে— আর যারা তোলাবাজদের বিপুল সম্পত্তির উদ্ধার করতেই হবে। এই জন্যই সব ধরনের দুর্নীতির প্রতিবাদে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা' চলছে।
ভোটাধিকার বাঁচাও
তোলাবাজ, গুন্ডা, মস্তান, শাসক দল, পুলিশ ও আমলার মধ্যে যে চক্র গড়ে উঠেছে, তারা মুনাফা টিকিয়ে রাখার জন্য ভোট লুটের ব্যবস্থাও করে রেখেছে। মৃত-ভুয়া ভোটার, ছাপ্পা ভোট এবং আমলা-পুলিশকে ব্যবহার করে নির্বাচন ও গণনার দিন ভোট লুট করা হয়। তাই এই যাত্রায় স্লোগান উঠেছে “ভোটাধিকার বাঁচাও, বাংলা বাঁচাও।”
পরিবেশ বাঁচাও
অন্যদিকে, লোভের জন্য জল, জমি, জঙ্গল, পাহাড়কে অবাধে ব্যবসায়ী ও কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। কর্পোরেটরা মুনাফার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের দফারফা করায় দার্জিলিঙ, তরাই, ডুয়ার্সে ভয়ানক বন্যা বিপর্যয় নেমে এসেছে। পাড়ার পুকুর, খাল, বিল সব ভরাট করে বেচে দিচ্ছে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী আর তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরা। এমনকি নদীর বালিও লুট হচ্ছে, নদীর চরও বেচে দিচ্ছে এরা। সাম্প্রতিক সময়ে এই কারণেই পাহাড় সমতল সর্বত্র ভয়ানক বন্যার জন্য বিপর্যয় নেমে এসেছে। এই অপরাধ রুখতে না পারলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে বাধ্য। অন্যদিকে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশে গঙ্গার ভাঙন বহু মানুষ জনকে জমি, বাড়ি, ঘর ছাড়া করছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। এভাবে চলতে থাকলে রাজ্যের আরও বিস্তীর্ণ অংশের মানুষকে ঘরছাড়া হতে হবে। একটা সরকার পরিবেশকে এইভাবে  লুট করতে পারে? তাই পরিবেশ রক্ষার জন্য বাংলা বাঁচাও যাত্রা চলছে।
সাম্প্রদায়িকতা হটাও
রাজ্য সরকার তাদের এই সব কুকীর্তি থেকে মানুষের নজর সরাতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে সাম্প্রদায়িকতা এবং মানুষের মধ্যে বিভাজনের তাসকে। ধর্ম, জাত, লিঙ্গ, ভাষা প্রভৃতিকে ব্যবহার করে তাদের দোসর আরএসএস-বিজেপি-কে নিয়েই এই অপরাধ করছে তৃণমূল। দু’দলেরই লক্ষ্য এক - ভাগ করো, লুট করো, শোষণ তীব্র করো... আর যেকোনও মূল্যে বামপন্থীদের অগ্রগতিকে রোধ করো।’ ডিয়ার লটারি হটাও
শাসকের আর এক অস্ত্র হলো মদ, গাঁজা সহ ঢালাও নেশার ব্যবস্থা করা। হতাশাগ্রস্ত যুবসমাজ নেশায় ডুবে থাকলে এদের অপশাসনের পথ মসৃণ হয়। রাজ্য জুড়ে সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে ডিয়ার লটারি। দরিদ্র মানুষ বিশেষ করে খেতমজুর, অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা নানান মানুষজন এককালীন কিছু অর্থের লোভে দৈনিক যা আয় করেন, তার একটা ভালো অংশের টাকায় লটারির টিকিট কাটেন, কিন্তু ভাগ্যে তা জোটে না। এরা আরও নিঃস্ব হন। এই বিপুল টাকা যাচ্ছে কোথায়? কোম্পানির মালিক কে? কে আছে পিছনে? তাই আওয়াজ উঠুক - ডিয়ার লটারি হটাও, বাংলা বাঁচাও।
নতুন বিকল্পের আহ্বান
কিন্তু এভাবে চালাকির দ্বারা বেশিদিন মানুষকে বোকা বানিয়ে রাখা যায় না, প্রশ্নহীন করে রাখা যায় না। মানুষ নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই এই দুই দলকে চিনতে শুরু করেছে। এই নোংরা খেলা আর চলবে না। কোনও দুর্বৃত্তই আমাদের শাসন করতে পারবে না, দুটোকেই ভাগিয়ে দিয়ে আমাদের নতুন বিকল্প এবং একমাত্র বিকল্প বামপন্থার পুনরুত্থান, এই বাংলায় ঘটাতেই হবে। যে সত্যের জন্য লড়াই বহু বছর ধরেই চলছে, সেই লড়াইকে কোনও শক্তি এক মুহূর্তের জন্য থামাতে পারবে না। বাংলার সৌন্দর্যকে অক্ষত রাখার জন্য এই লড়াই চলতেই থাকবে।

Comments :0

Login to leave a comment