লিওনেল মেসির সফরকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার তদন্তে বুধবার যুবভারতীতে পৌঁছালো বিশেষ তদন্ত দল। চার আইপিএস আধিকারিককে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে।
তৃণমূলের দাবি, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগের চিঠি দিয়েছেন এবং ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’-র স্বার্থে তা গ্রহণ করেছেন।
বুধবার আরও এক দর্শককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো ভাঙচুরের দায়ে।
বুধবার সকালে আইপিএস আধিকারিক পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত দল স্টেডিয়াম ঘুরে যায়। এই টিমে রয়েছেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার এবং বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলিধর। ‘সিট’ বিধানসভার কমিশনারেটেও যায়। তারপর যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছায়। গোটা স্টেডিয়ামের ঘুরে দেখেন তাঁরা।
সিট-র সদস্যরা স্টেডিয়াম ঘুরে যাওয়ার পরই গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে আটকে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি’র শুভেনদু অধিকারী।
গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির সফর ঘিরে হয় চরম বিশৃঙ্খলা। মেসিকে দেখতে না পেয়ে হতাশ দর্শকরা নেমে আসেন মাঠে। ভাঙচুরও হয়।
মেসিকে ঘিরে থাকা ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং আরও কিছু সাঙ্গোপাঙ্গের জন্য দেখা যায়নি মেসিকে। ভিড়ের মধ্যে একদল লোককে দেখা যায় যাদের থাকার কথা ছিল না বলে জানা গিয়েছে। মেসির ম্যানেজারই মনে করেন যে নিরাপত্তার সমস্যা হচ্ছে। মেসিকে বের করে নেওয়ার পরই ক্ষোভ তীব্র হয়। ঘটনা হলো, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদেরও মেসিকে ঘিরে থাকা বৃত্তে দেখা গিয়েছে। সেলফি তোলার হিড়িকে মেসিকে দেখতে পাননি হাজার হাজার টাকায় টিকিট কেটে আসা দর্শকরা। যুবভারতীতে সেদিন পানীয় জল, শুকনো খাবারও বিক্রি হয়েছে চড়া দামে।
গত মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য সচিবের দপ্তর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় যে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার একাধিক শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছেন। যুবভারতীর সিইও পদ থেকে সরানো হয়েছে দেবকুমার নন্দনকে।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমারকেও শো-কজ করা হয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেটের ভূমিকা কী ছিল। কিভাবে বিশৃঙ্খলা হয়েছে তা বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে।
ডিসিপি অনীশ সরকারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মুখ্য সচিবের দপ্তর। ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের প্রিন্সিপাল সচিব রাজেশ কুমার সিন্হাকেও কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
Yuba Bharati SIT
যুবভারতী কাণ্ডের তদন্তে স্টেডিয়ামে ‘সিট’
×
Comments :0