BOOK — NILESH SAHA — MOTICHUR / ROKEYA— MUKTADHARA | 9 DECEMBER 2025, 3rd YEAR

বই — নীলেশ সাহা — ‘মতিচুর’ রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেনের উদ্দেশ্যমূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ — মুক্তধারা — ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, বর্ষ ৩

নতুনপাতা/মুক্তধারা

BOOK  NILESH SAHA  MOTICHUR  ROKEYA MUKTADHARA  9 DECEMBER 2025 3rd YEAR

বইকথা 

 

মুক্তধারা

‘মতিচুর’ রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেনের উদ্দেশ্যমূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ

নীলেশ সাহা 

৯ ডিসেম্বর ২০২৫, বর্ষ ৩

 

এই রচনায় উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের গােড়ায় ভারতবর্ষে পুরুষ শাসিত সমাজজীবনের সবক্ষেত্রে নারী,বিশেষ করে মুসলমান নারীসমাজের পশ্চাদপদতা,দুর্বহ জীবন ও অধিকারহীনতাকে দেখা হয়েছে পুরুষের নিদারুণ স্বার্থপরতা,আধিপত্যকামী মানসিকতার প্রেক্ষাপটে। অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে বেগম রােকেয়া আবেগধর্মী যুক্তিপ্রধান এই রচনায় নারীসমাজকে জ্ঞানচর্চা ও কর্মব্রত,অধিকার সচেতনতা ও মুক্তি-আকাঙ্ক্ষায় প্রবুদ্ধ করতে সচেষ্ট হয়েছেন। ‘অর্ধাঙ্গী’ প্রবন্ধে রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেন দেখাতে চেয়েছেন,সমাজ যে পূর্ণ ও স্বাভাবিক গতিতে অগ্রসর হতে পারছে না তার কারণ পরিবার ও সমাজজীবনের অপরিহার্য অর্ধেক শক্তি নারীসমাজের দুর্বল ও অবনত অবস্থা। এজন্যে পুরুষসমাজের দৃষ্টিভঙ্গির সংকীর্ণতাকে দায়ী করেছেন তিনি। এ রচনায় নারী জাগরণের পক্ষে যে সুচিন্তিত,দৃঢ় ও বলিষ্ঠ মতামত তিনি ব্যক্ত করেছেন তাতে তাঁর মন্তব্যে আছে আবেগের গাঢ়তা আর যুক্তিতে আছে ধারালাে তীক্ষ্ণতা। তিনি দেখাতে চেয়েছেন,সমাজ জীবনের অগ্রগতি ও কল্যাণ সাধনের জন্যে নারী জাগরণ এবং সেই সঙ্গে পুরুষ সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের বিকল্প নেই। – মতিচুর’ গ্রন্থের প্রতিটি প্রবন্ধে বেগম রােকেয়া সমাজের অগ্রগতির প্রয়ােজনে নারী জাগরণের কথা বলেছেন। সর্বক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া দেশ ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়।

“মতিচূর (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ ‘মতিচুর’ রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেনের উদ্দেশ্যমূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ। ঘৃতপক্ক মিষ্টান্ন বিশেষকে বলা হয় মতিচুর। রােকেয়ার গ্রন্থের রচনাগুলােও অনেকটা সুস্বাদু মিষ্টান্নের মতােই। মতিচুর’ গ্রন্থের দুটি খণ্ডে মােট প্রবন্ধের সংখ্যা ১৭টি। প্রথম খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত ৭টি প্রবন্ধের নাম-‘পিপাসা’,‘স্ত্রীজাতির অবনতি’,‘নিরীহ বাঙালি’,‘অর্ধাঙ্গী’,‘সুগৃহিণী’,‘বােরকা’ ও ‘গৃহ’। দ্বিতীয় খণ্ডে ১০ প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে। এসেছে বাঙালির খাদ্যাভাস। এখানে সৌন্দর্যপ্রিয় বাঙালির সম্পদের অভাব নেই,কিন্তু অলস্য ও আরামপ্রিয়তা,তাদের সামনে বড় বাধা। বীরের জাতি বাঙালি তাদের বীরত্বকে কাজে না লাগিয়ে সহজ পথের সন্ধান করে বেড়ায়। আমাদের কাব্যে বীররসের চেয়ে করুণরসের প্রাধান্য আছে। ফলে আমাদের অগ্রগতির চেয়ে অবনতি হচ্ছে বেশি। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে বাঙালির যাবতীয় সুন্দর বৈশিষ্ট্যকে আরাে সুন্দর ও সার্থক করে তুলতে হবে। ‘মতিচুর’ গ্রন্থের আরাে একটি উল্লেখযােগ্য প্রবন্ধ অর্ধাঙ্গী’। 

মতিচূর(প্রথম খন্ড) : ১৯০৪ (১৩১১)। [উৎসর্গ - মোহাম্মদ ইব্রাহিম আবুল আসাদ সাবের], Sultana's Dream : ১৯০৮ সালে। [উৎসর্গ : করিমুন্নেসা খানম] 

মতিচূর (দ্বিতীয় খন্ড): ১৯২১ [উৎসর্গ: আপাজান করিমুন্নেসা খানম], পদ্মরাগ : ১৯২৪ (১৩৩১ বঙ্গাব্দ) [উৎসর্গ : আবুল আসাদ ইব্রাহিম সাবের], অবরোধবাসিনী : প্রকাশ:- ১৯৩১

Comments :0

Login to leave a comment