LANDSLIDE EXPART OPINION

প্রকৃতির লুটেই বিপর্যয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

রাজ্য জেলা

অনিন্দিতা দত্ত: শিলিগুড়ি

সমগ্র পাহাড় সহ উত্তরের এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ বেলাগাম লুট। দিনের পর দিন পাহাড় কেটে, জঙ্গল সাফ করে তৈরি হয়েছে একের পর এক রিসর্ট, হোটেল, হোমস্টে। পাহাড়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্যের তোয়াক্কা না করে মুনাফার খোঁজ চলেছে। আর তার জেরেই ফুঁসছে পাহাড়। 
শুধু পাহাড় নয়, পাহাড়ের নদীর গতিপথ আটকে দেওয়া হয়েছে। দেদার লুট হয়েছে নদীর বালি, পাথর। বুলডোজার জেসিবি চালিয়ে নদীর বুকে অবৈজ্ঞানিকভাবে খনন কার্য চালানো হয়েছে। নদী তার গতিপথ হারিয়েছে। 
এই ভয়াবহ বিপর্যয় গত ২০২৩ সালের ভারী বর্ষণে উত্তর সিকিমের চুংথামে লোনাক হ্রদে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম্প বিস্ফোরণের বিপর্যয়কে মনে করিয়েছে। তবুও নদী দখলের প্রবণতা কমেনি।  
শনিবার ভারী বর্ষণে বালাসন নদী ফুলেফেঁপে উঠছে। বালাসনের জলোচ্ছ্বাসে দুধিয়ায় লোহার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে বালাসন তার নির্দিষ্ট গতিপথ বদল করে জনবসতি এলাকার দিক ঘেঁষে বইতে শুরু করে। শুরু হয় তাণ্ডব। একের পর এক বাড়িঘর সব মুহূর্তেই তলিয়ে যায় বালাসনে। 
তিস্তানদীর গ্রাসে চলে গিয়েছে বাংলা-সিকিম যোগাযোগের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। আরও খরস্রোতা হয়ে উঠেছে তিস্তা। 
এই প্রসঙ্গে হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন (ন্যাফ)’র কো অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে পরিবেশবিদ সহ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কার মধ্যে ছিলো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা যে কোন সময় ঘটতে পারে। একরাতের প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অবাধে গাছ কাটার পরিণাম ভুগতে হচ্ছে। পাহাড়ের মাটি আলগা হচ্ছে। এখনও সময় আছে। সাবধান না হলে আগামী দিনে আরো বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে উত্তরবঙ্গবাসীদের।’’
এদিন পাহাড়ের ধস বিধ্বস্ত ও উত্তরে বন্যা কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।

Comments :0

Login to leave a comment