kashmir Snowfall

রফের চাদরে ঢাকল কাশ্মীর

জাতীয়

জম্মু ও কাশ্মীরের গুলমার্গে তুষারপাত

শীতে এখনও কাঁপছে কাশ্মীর। সেই সঙ্গে হয়ে চলেছে তুষারপাত। শনিবার কাশ্মীরের বেশিরভাগ জায়গায় বরফ পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শুষ্ক আবহাওয়া ও চলতি শীতে তুষারপাত না হওয়ায় জম্মু ও কাশ্মীরে শীতকালীন পর্যটনে বড় ধাক্কা লেগেছিল। তার সরাসরি প্রভাব পড়েছিল পর্যটক আগমন ও স্থানীয় অর্থনীতিতে। শনিবার চলতি শীত মৌসুমের প্রথম তুষারপাত শুরু হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। রাত থেকে উপত্যকার বিস্তীর্ণ উঁচু এলাকায় শুরু হওয়া তুষারপাত ঢেকে ফেলে সাদা বরফের চাদরে। যত দূর চোখ যায় শুধু বরফ আর বরফ। আনন্দে মেতেছেন পর্যটকরা। দীর্ঘদিনের শুষ্কতার পর স্বস্তিতে স্থানীয় স্থানীয়রাও। 
রবিবার কাশ্মীরের উঁচু এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। গুলমার্গে প্রায় দুই ইঞ্চি তুষারপাত হয়েছে। সকাল থেকে সোনামার্গে তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মীরে ৪০ দিনের কঠোর শীতকালীন সময়কাল, চিল্লাই-কালান, আজ থেকে শুরু হয়েছে। প্রতি বছর ২১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত চিল্লাই-কালান স্থায়ী হয়। এই সময়কালে সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হয়। শনিবার রাত থেকে গুরেজ উপত্যকা, ওয়ারওয়ান উপত্যকা, সিন্থান টপ, রাজদান পাস, সাধনা টপ, জোজিলা ও সোনমার্গসহ দক্ষিণ ও উত্তর কাশ্মীরের বিভিন্ন উঁচু অঞ্চলে তুষারপাত হয়েছে। পাশাপাশি লাদাখ অঞ্চলের দ্রাস এবং কারগিল জেলার কয়েকটি এলাকাতেও নতুন করে তুষারপাত হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস রয়েছে , জম্মু ও কাশ্মীরজুড়ে আগামী কয়েক দিনে তুষারপাত আরও বাড়তে পারে। রবিবার উঁচু এলাকাগুলোতে মাঝারি থেকে ভারি তুষারপাতের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া আগামী দুই দিনে এর তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই আবহাওয়া ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়ার এই পর্বে ৪০ দিন ধরে কাশ্মীরে তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকে সব থেকে বেশি। এই পর্বের সূচনা হয়েছিল ২১ ডিসেম্বর, চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। তারপর ২০ দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ চলে কাশ্মীরে, যাকে আবহাওয়ার পরিভাষায় বলে ‘চিল্লাই খুর্দ’। সব শেষে ১০ দিন চলে ‘চিল্লাই বাচ্চা’।

Comments :0

Login to leave a comment