ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে এক সবজি বিক্রেতার স্ত্রী বাড়িতে একাই ছিলেন। রাত প্রায় দশটা নাগাদ তিনি উঠোনে কলের পাশে বাসন মাজছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই তিন যুবক বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এরপর তারা ওই গৃহবধূকে জোর করে ঘরের ভিতরে টেনে নিয়ে গিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতাকে এই বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
প্রথমে ভয়ে এই নৃশংস ঘটনার কথা কাউকে জানাতে পারেননি নির্যাতিতা। পরে সাহস সঞ্চয় করে তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ সরকারের কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলেন। তাঁর পরামর্শে এবং স্বামীর সহায়তায় রবিবার ময়নাগুড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী।
অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে। প্রথমে গৌরাঙ্গ রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আরও দুই অভিযুক্ত বিষ্ণু রায় ও মিন্টু রায়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, “ওরা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে, শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ে দেয়। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম।”
এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ সরকার বলেন, “এটা ভীষণ নিন্দনীয় ও বর্বরোচিত ঘটনা। সমাজে এর কোনো স্থান নেই। প্রশাসনের উচিত দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা।”
এদিন গ্রেপ্তার হওয়া তিন অভিযুক্তকেই জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষার পাশাপাশি ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। দলবেঁধে ধর্ষণের মতো এই নৃশংস ঘটনায় উত্তাল ময়নাগুড়ির মানুষ দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।
Maynaguri Gang-Raped
ময়নাগুড়িতে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার তিন অভিযুক্ত

×
Comments :0