ফের উদ্ধার জাল টাকা। বসিরহাটের ইটিন্ডা,হাড়োয়ার পর ফের বিপুল পরিমাণ জাল টাকা উদ্ধার হয়েছে উত্তর ২৪পরগনার মাটিয়া থানা এলাকা থেকে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বসিরহাট মহকুমা জুড়ে একের পর এক জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসন। মালদহ মুর্শিদাবাদের পর বসিরহাট কী জাল টাকা কারবারীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে? এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায়।
রবিবার সকালে মাটিয়া থানার পক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনা জানানো হয়। পুলিশের দাবি, বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩৪ লক্ষ জাল টাকা। এই ঘটনায় বাড়ির মালিকের আবদুল কালিম ওরফে রাজাকে গ্রেপ্তার করেছে মাটিয়া থানার পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে সাতদিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে রবিবার ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। আদালত ধৃত আবদুল করিম ওরফে রাজাকে ৫দিনের পুলিশি হেফাজত দেয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে মাটিয়া থানার খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাপুরের একটি বাড়িতে হানা দেয় বসিরহাট পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং মাটিয়া থানার পুলিশের যৌথ বাহিনী। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৩৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩০০ টাকার জাল নোট। যার মধ্যে রয়েছে ২০০, ৫০০ এবং ২ হাজার টাকার জাল নোট। ২০০০টাকার জাল নোট ১৫৬৭টি,৫০০টাকার জাল নোট ৩২৭টি ও ২০০টাকার জাল নোট ২৯৮টি উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির মালিক বেপাত্তা। এই বিপুল পরিমাণ জাল টাকা কী ভাবে কোন উদ্দেশ্যে এখানে এলো সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জাল টাকা কারবারীদের সাথে কোনও যোগাযোগ আছে কী না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ২০০০টাকার নোট আইনত বাতিল সারা দেশে। তবে কী পুলিশ প্রশাসন এমনকি গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে বহুদিন ধরে জাল নোটের কারবার চালিয়ে আসছে আবদুল করিম ওরফে রাজা? সেই প্রশ্নও তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত,গত ২১ জানুয়ারির রাতে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বসিরহাট থানার ইটিন্ডা থেকে উদ্ধার হয় ৫০০টাকার ২৫টি জাল নোট। গ্রেপ্তার হয় দুই জন। ঠিক তার পাঁচ দিনের মাথায় হাড়োয়া থানার লাউহাটি রাজারহাট রোডে জোকার বিল এলাকা থেকে ১০০টি ১০০টাকার জাল নোট সহ দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার মাটিয়া থানায় উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ জাল ভারতীয় মুদ্রা উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পুলিশ প্রশাসন।
fake currency recovered
রাজ্যে ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ জাল টাকা

×
Comments :0