NRC Cooch Behar

আসামের এনআরসি নোটিশ কোচিবাহরের আরেক বাসিন্দাকে

রাজ্য জেলা

মমিনা বিবির হাতে আধার কার্ড এবং এনআরসি’র নোটিশ।

অমিত কুমার দেব

ফের আসাম থেকে এনআরসি’র নোটিস এল কোচবিহারে। এবার নোটিশ ধরানো হয়েছে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের শালবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশরাজা গ্রামের বাসিন্দা মমিনা বিবিকে।
এর আগে কোচবিহার জেলারই দিনহাটার উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে, মাথাভাঙা-২ ব্লকের লতাপাতা গ্রামের নিশিকান্ত দাসকে ধরানো হয়েছে এনআরসি’র নোটিশ। 
আসামের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল-৯ ধুবড়ি থেকে এই এনআরসির নোটিশ পাঠানো হয়েছে মমিনা বিবিকে। যার এফটি নম্বর -  FT9/207/GKJ/2019, স্মারক নম্বর  DFT9/917। 
জানা গিয়েছে, প্রায় ৪৫ বছর আগে আসামের ধুবড়ি জেলার আগমনী এলাকার বাসিন্দা জহির মিঞার সাথে বিয়ে হয় জন্মসূত্রে এই বাঁশরাজা এলাকার বাসিন্দা মমিনা বিবির। দেড় বছর সেই আগমনী এলাকায় ছিলেন মমিনা বিবি। এরপর স্বামীকে নিয়ে তিনি চলে আসেন তাঁর জন্মস্থান এই বাঁশরাজা গ্রামে। এখানেই বাড়ি করে থাকতে শুরু করেন তিনি। তার স্বামী ছিলেন কৃষি কাজের সাথে যুক্ত। এখানেই দুই সন্তানের জন্ম হয় তাঁর। এরপর তাঁর স্বামী তাকে তালাক দিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে এই বাঁশরাজা এলাকারই আরেকজনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন মমিনা বিবি। বর্তমানে দুই ছেলেকে নিয়ে এখানেই বসবাস করছেন ৬০ বছরের এই মহিলা। এনআরসি নোটিশ পাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত।
এই নিয়ে তিনবার এনআরসি’র নোটিশ এসেছে বলে এদিন জানান মমিনা বিবি। গত দু’বার নোটিশ এলেও তিনি যাননি ধুবড়ি এনআরসি দপ্তরে। আর এবার এনআরসি দপ্তরে না গেলে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কিত এই মহিলা। 
মমিনা বিবির পুত্র মোজাম্মেল মিঞা বলেন, মা এখানেই জন্মেছেন। কেন তার মায়ের নামে এ ধরনের নোটিশ এলো? 
আসামের বিজেপি সরকার তীব্র চেহারায় ধর্মীয় বিভাজনে নেমেছে দীর্ঘ সময় ধরে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি’র হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এমনকি এই হুমকিও দিয়েছেন যে জনগণনায় কেউ মাতৃভাষা বাংলা লিখলে তাকে বিদেশি ধরা হবে। বাংলাভাষী মুসলিমদের কোনও আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই বাংলাদেশি বলে ‘পুশব্যাক’ পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু এ রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ভূমিকাতেও প্রশ্ন তুলছেন বামপন্থীরা। কয়েকমাস আগে থেকে নোটিস দেওয়া শুরু হলেও রাজ্যের তরফে আসামের সঙ্গে প্রশাসনিক স্তরে কী কথা হয়েছে একেবারেই স্পষ্ট নয়। 

Comments :0

Login to leave a comment