ICDS WORKER ATTACKED

ভোটের কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, প্রতিবাদ হিঙ্গলগঞ্জে

জেলা

সবিস্তারে ঘটনা জানাচ্ছেন আক্রান্ত আইসিডিএস কর্মী।

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে বিএলও’র দায়িত্বে। নির্বাচন কমিশনের হয়ে বাড়িবাড়ি ভোটার  স্লিপ বিলি করতে হচ্ছে তাঁদেরই। সে কাজ করতে গিয়েই আক্রান্ত হলেন কৃষ্ণা হাউলি।
রূপমারীর এই ঘটনায় হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও’র কাছে প্রতিবাদ জানালো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আইসিডিএস কর্মী সমিতি। বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন যে আক্রান্ত কৃষ্ণা হাউলির সঙ্গে এরপর থেকে একজন পুলিশকর্মী থাকবেন।
কৃষ্ণা হাউলি জানিয়েছেন পুরো ঘটনা। তিনি বলছেন, ‘‘বুথ স্লিপ বিলি করছিলাম রূপমারীতে। একজন এসে বলল যে আবাস থেকে নাম কাটা গেছে কেন। আমি বললাম আমরা তো নাম বাদ দেইনি। বিডিও দপ্তর থেকে হয়েছে। তাঁরা বলতে পারবেন। কিন্তু সেই লোকটি বলল এই এলাকায় কাজ করতে দেবে না। অশ্লীল আচরণও করে। ভোটার স্লিপ কেড়ে নেয়। হুমকি দেয় যে এলাকায় দেখলে কেটে ফেলবে।’’ 
কৃষ্ণা হাউলির স্বামী স্বামী সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি স্বামীকে খবর দিলে পুলিশ ক্যাম্পে ফোন যায়। ভিলেজ পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। সেখানেই কয়েকজন এসে স্লিপ ফেরত দেয়।
কৃষ্ণা হাউলি বলছেন, ‘‘সুপারভাইজারকে ফোন করে জানাই। তিনি বলেন, পঁচাশি বছরের বেশি ভোটারদের লিস্ট দিন আগে। আরেক আধিকারিককে ফোন করতে বলেন। তিনি বলেন, এখন নির্বাচন। কিছু করা যাবে না।’’ 
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সংগঠন বিডিও-কে ডেপুটেশন দেয় এই ক্ষোভ থেকেই। দু’জন আধিকারিককে জানানোর পরও বিডিও জানতেন না ঘটনা। কেন এই অবেহেলা, প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। 
হিঙ্গলগঞ্জ প্রজেক্টের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সমিতির নেতৃবৃন্দ জানাচ্ছেন যে এখানে এর আগে আবাস যোজনার কাজ করতে গিয়েও আক্রান্ত হয়েছিলেন আইসিডিএস কর্মীরা। সে সময়ে রূপমারীতেই সুপ্রিয়া আড়ি মণ্ডল মারাত্মক আক্রান্ত হন। তখন জেলাশাসককে জানানো সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চিকিৎসার সহায়তাও করা হয়নি। উলটে ওই মহিলা কর্মীর নামেই মামলা দায়ের হয়। 
সংগঠন বলছে, আইসিডিএস কর্মীরা সব কাজ করেও কেন আক্রান্ত হবেন বারবার? কোনও নিরাপত্তা না পেলে ভোটের এই কাজ করা যাবে না।
তবে বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশকর্মী সঙ্গে থাকবে আক্রান্ত কৃষ্ণা হাউলির কাজের সময়। আইনি ব্যবস্থা কী নিতে পারবেন তা যদিও স্পষ্ট নয় বলে জানাচ্ছেন আইসিডিএস কর্মী সমিতির নেতৃবৃন্দ।

Comments :0

Login to leave a comment