JOURNEY — AVIK CHATARJEE — KHEROR KHATAYA ORANGABAD — MUKTADHARA — 6 DECEMBER 2025, 3rd YEAR

ভ্রমণ — অভীক চ্যাটার্জী — খেরোর খাতায় ঔরঙ্গাবাদ... — মুক্তধারা — ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, বর্ষ ৩

নতুনপাতা/মুক্তধারা

JOURNEY  AVIK CHATARJEE  KHEROR KHATAYA ORANGABAD  MUKTADHARA  6 DECEMBER 2025 3rd YEAR

ভ্রমণ

মুক্তধারা

খেরোর খাতায় ঔরঙ্গাবাদ
 

অভীক চ্যাটার্জী 

৬ ডিসেম্বর ২০২৫, বর্ষ ৩

 

ঔরঙ্গাবাদ!  চালুক্য, রাষ্ট্রকুটদের হিন্দু বৌদ্ধ জৈন ধর্মের অন্যতম আধার, ঔরঙ্গাবাদ। যাদব রাজবংশের দাক্ষিণাত্যের রাজনীতি ও সামরিক কলা কৌশলের অন্যতম কেন্দ্র ঔরঙ্গাবাদ, মুঘলদের দাক্ষিণাত্যের অন্যতম প্রশাসনিক কেন্দ্র ঔরঙ্গাবাদ।নাকি - আজকের মহারাষ্ট্রের অন্যতম বিকাশমান শহর ছত্রপতি সম্ভাজিনগর।

বৃষ্টিস্নাত সেই সকালে আমরা যখন ঔরঙ্গাবাদে পা রাখলাম, তখনও আকাশের মুখ ভার। সকাল সাতটা বেজে গেছে। বৃষ্টি অবিরাম পড়ে চলেছে। আমরা বাসস্টপের পাস দিয়ে যাওয়া একটা অটোরিকশাকে প্রায় হাইজ্যাক করার মত করে পাকড়াও করে চললাম আমাদের নির্ধারিত ধর্মশালায়। আমি আগে থেকেই দেখে রেখেছিলাম, শ্রী চন্দ্রসাগর দিগম্বর ধর্মশালা। ঔরঙ্গাবাদে প্রচুর হোস্টেল এবং হোটেল থাকলেও সস্তায় ভালো থাকার জায়গা হিসাবে এই জায়গাটা বেশ ভালো। তবে খাবারের জন্যে বাইরেই যেতে হবে। আমাদের সে সবার কোনো সমস্যা ছিল না। আমরা সোজা গিয়ে ঘরে ঢুকে পড়লাম।

একটু বিশ্রাম নিয়ে স্নান করে আমরা বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে। আজ আমরা যাব ইলোরা। তবে তার আগে কিছু খেয়ে নিতে হবে।

আমরা হালকা কিছু খাবার খেয়ে নিয়ে সোজা চলে গেলাম ইলোরা। বৃষ্টি তখনও পিছু ছাড়তে চাইছে না। ইলোরা পৌঁছনোর পর আবার হালকা জোরে হয়েই চলেছে। আমি আর শুভ সে সবের থোড়াই তোয়াক্কা করি!আমি গিয়ে দাঁড়ালাম টিকিটের লাইনে।

টিকিট কেটে ঢুকতে আরও আধ ঘণ্টা খানেক লেগে গেলো। ভেতরে ঢোকার পর সবার সামনে যা দেখতে পেলাম, তা আমি ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন ছবির বইতে দেখে এসেছি। বৃষ্টিস্নাত ব্যাসল্ট শিলায় একটু একটু করে উপর থেকে নিচে পাহাড় কেটে বের করে আনা চিরন্তন অত্যাশ্চর্য , "কৈলাশ মন্দির"। বৃষ্টির পর তার রূপ যেনো আরও খোলতাই হয়েছে। তবে আমরা প্রথমে কৈলাশ মন্দির দিয়ে শুরু করবো না। কৈলাশ মন্দির হলো গুহা নং ১৬। প্রসঙ্গত বলে রাখি, ইলোরা গুহা হলো সম্পূর্ণ এবং অসম্পূর্ণ ৩৪টি গুহার সমন্বয়ে তৈরি। তার মধ্যে ১ থেকে ১২ হলো বৌদ্ধ গুহা, ১৩ থেকে ২৯ হলো হিন্দু গুহা এবং ৩০ থেকে ৩৪  পর্যন্ত হলো জৈন গুহা। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের এক অদ্ভুত নিদর্শন হলো এই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। আমরা একটু একটু করে এগিয়ে গেলাম গুহা নং ১ এর দিকে। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। বৃষ্টি সে সবুজের তেজ যেনো আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ব্যাসল্ট এর কালো রং যেনো আরও খুলেছে সেই সতেজ সবুজের সঙ্গতে।

Comments :0

Login to leave a comment