Kharge Pahalgam

সঙ্কটের সময়ে বিভেদে খেদ খাড়গের, কেরালায় সব স্তরে জমায়েতে নামছে সিপিআই(এম)

জাতীয়

জয়পুরে কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলটের সঙ্গে খাড়গে।

দেশ একজোট হয়ে লড়তে তৈরি। আর বিজেপি-আরএসএস জনতার জোটকে ভাঙতে চেষ্টা করছে প্রতিদিন। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে দায়ী করছে বিরোধীদের। 
সোমবার জয়পুরে কংগ্রেসের সভায় ভাষণে এই মর্মে আক্রমণ করেছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। পহেলগামে সন্ত্রাসের পরে কেন্দ্রের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকের প্রসঙ্গও তুলেছেন তিনি। খাড়গে বলেছেন, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্থী বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারে প্রচারে চলে গেলেন। 
পহেলগামে সন্ত্রাসে সর্বদলীয় বৈঠকেই ব্যর্থতা স্বীকার করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। কিন্তু বিজেপি এবং আরএসএস সন্ত্রাসবাদের বদলে আক্রমণের লক্ষ্য করেছে সংবিধান এবং সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতাকে। সোশাল মিডিয়ায় চলছে বিদ্বেষ প্রচার। 
এই আবহেই দেশের সর্বত্র সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রচার এবং ঐক্যরক্ষার ডাক দিয়েছে সিপিআই(এম)। কেরালায় এরিয়া কমিটি স্তরে জমায়েত করবে পার্টি।
সিপিআই(এম) কেরালা রাজ্য কমিটি জানিয়েছে ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবতার জোট’, এই প্রচার সামনে রেখেই সব স্তরে জমায়েত করা হবে। তার জন্য প্রচার চলবে সব স্তরে। সন্ত্রাসবাদকে রুখতে হলে গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার উদ্দেশ্য ছিল দেশের মানুষকে ভাগ করা। সেই উদ্দেশ্য সফল হতে দেওয়া যাবে না।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে একদল সন্ত্রাসবাদী ২৬ জনকে হত্যা করে। তার মধ্যে ছিলেন স্থানীয় ঘোড়া চালক সৈয়দ আদিল হোসেন শাহ পর্যটকদের রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। নিহত পর্যটকদের পরিজনরা জানিয়েছিলেন যে ধর্মীয় পরিচয় বেছে হত্যা করেছে সন্ত্রাসবাদীরা।
স্থানীয়রাই ঘোড়া নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে কাছের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছেন। বাহিনী পৌঁছেছে ঘটনার তার পরে। 
পহেলগামের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ। পর্যটকদের হত্যায় তাঁদের জীবিকাও বিপন্ন। কিন্তু উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তি এই ঘটনাকেই কাজে লাগিয়ে বিভাজন ছড়াতে তৎপর।
রাজস্থানের জয়পুরে খাড়গে বলেছেন, দেশ সবার আগে। দেশ বাঁচাতে সবাইকে এক হয়েই লড়তে হয়।   

Comments :0

Login to leave a comment