আগামী ২০২৮ লস এঞ্জেলেস অলিম্পিকে যুক্ত হতে চলছে কম্পাউন্ড তিরন্দাজি। এবার এই বিষয়েই নিজের প্রতিক্রিয়া বর্ণনা করেছেন অর্জুন এবং দ্রোণাচার্য পুরস্কার প্রাপ্ত কোচ সঞ্জীব কুমার সিং। বর্তমানে আর্চারি ইন্ডিয়ার পদ থেকে অবসরের পর তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন নিজের একাডেমি থেকে ভবিষ্যতের তারকাদের তুলে আনার জন্য। তিনি জানিয়েছেন ' আমি যখন ২০০৪সালে এই কম্পাউন্ড আর্চারি শুরু করেছিলাম তখন সকলেই হেসেছিল এবং বলেছিল এতে কোনো ভবিষ্যৎ নেই । তারপর থেকে এতো বছরে আমরা অনেক পুরস্কার জিতেছি এশিয়ান লেভেল , বিশ্বকাপ এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টেও '। এই কম্পাউন্ড আর্চারি ব্যবহারের ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে যথেষ্টই সক্ষম হতে হয় । এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন ' ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকানরা শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্ষম হওয়ায় তাদের গড় শটের রেঞ্জ ৪৫-৫০ এর মধ্যে হয় কিন্তু ভারতীয়দের সেখানে ৪২-৪৪ হয় '। এই শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোই এখন চ্যালেঞ্জ সঞ্জীবের কাছে। শেষবার ১৯৭২সালের মিউনিখ অলিম্পিকেই এই কম্পাউন্ড আর্চারির ইভেন্ট হয়েছিল। রিকার্ভ এবং কম্পাউন্ড আর্চারির মধ্যে প্রধান তফাৎ মূলত ধনুকে। রিকার্ভের দুই প্রান্ত নিচের দিকে বাঁকানো থাকে এবং মাঝের দিকটা অর্ধবৃত্তের মতো থাকে। কম্পাউন্ডে মাঝের অংশ বেঁকে নিচের দিকে আসে। ফলে এই ধনুক ধরার জন্য যথেষ্টই শারীরিক সক্ষমতার প্রয়োজন হয়। ১৯৬০সালে প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই কম্পাউন্ড আর্চারির আবিষ্কার হয়। ১৯৫সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অনুষ্ঠিত হয় এই ইভেন্ট। সেই থেকে অলিম্পিক বাদে সবরকমের তিরন্দাজি প্রতিযোগিতাতেই রিকার্ভ এবং কম্পাউন্ড এই দুই ধরনের ইভেন্টই থাকে।
SANJEEVA KUMAR SINGH
২০২৮ অলিম্পিকে কম্পাউন্ড তিরন্দাজি যুক্ত হওয়ায় খুশি কোচ সঞ্জীব

×
Comments :0