Gaza Aid Bombed

গাজায় ত্রাণবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা, শহরেও আক্রমণ ইজরায়েলের

আন্তর্জাতিক

ফের ইজরায়েলের বোমা আক্রমণে ২২ নাগরিক নিহত হয়েছেন গাজায়। শুক্রবারই গাজায় ত্রাণ বয়ে আনার পথে একটি নৌযানে বোমা পড়েছে। 
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, গাজায় এখনই পর্যাপ্ত খাদ্য ও ওষুধের ব্যবস্থা না হলে মারা যাবে বহু শিশু। 
টানা প্রায় দু’মাস গাজায় ত্রাণ সরবরাহ আটকে রেখেছে ইজরায়েলের সেনা। 
আন্তর্জাতিক স্তরে গাজায় আগ্রাসন বিরোধী বিভিন্ন অংশের মঞ্চ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ ত্রাণের ব্যবস্থা করে। একটি জাহাজে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গাজার পথে যাচ্ছিলেন এই মঞ্চের কর্মীরা।  
মালটার তটরেখা থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে এই জাহাজের ওপর ড্রোন আক্রমণ হয়। মালটা সরকারিভাবে জানিয়েছেন ড্রোন হামলায় কারও প্রাণহানি হয়নি। তবে ত্রাণসামগ্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন নেভানো হয়েছে। 
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফের বলেছেন, গাজায় ইজরায়েলী বন্দিদের মুক্তির জন্য কেবল আক্রমণ করা হচ্ছে না। ‘শত্রুর বিরুদ্ধে নির্ণায়ক জয়ের জন্য চলবে আক্রমণ।’
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে প্যালেস্তিনীয়দের পুরোপুরি উচ্ছেদের লক্ষ্য জানিয়েছেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কাজ করছেন সেই লক্ষ্যেই। 
ত্রাণ মঞ্চ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ একটি বিবৃতিতে দাবি করেছে যে হামলা হয়েছে যেখানে তা আন্তর্জাতিক জলভাগ বলে চিহ্নিত। সংশ্লিষ্ট দেশগুলির উচিত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে জবাবদিহি চাওয়া। 
‘কনসায়েন্স’ নামে এই জাহাজটি মঙ্গলবার রাতে তিউনিশিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে গাজার উদ্দেশ্যে। মালটার কাছে জলভাগে বেশ কয়েকঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিল জাহাজটি। সে সময়ই হয় ড্রোন হামলা। ত্রাণ সরবরাহের এই উদ্যোগে শামিল হওয়ার কথা পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং আমেরিকার প্রাক্তন সেনা আধিকারিক ম্যারি অ্যানেরও। তবে এই ঘটনার পর তাঁরা সম্ভবত আর অংশ নিতে পারবেন না। 
প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বের বহু মানুষই বারবার শামিল হয়েছেন। ইজরায়েলের দখলদারির প্রতিবাদও চলছে বিশ্বে। এই অংশের উদ্যোগেই দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ।

Comments :0

Login to leave a comment