OPERATION SINDOOR

অপারেশন সিঁদুরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে লস্কর ই তইবা এবং জইস ই মহম্মদের একাধিক ঘাঁটি, দাবি সেনার

জাতীয়

গুঁড়িয়ে দেওয়া ঘাঁটি গুলোর মধ্যে আছে লস্কর ই তইবা এবং জইস ই মহম্মদের একাধিক ঘাঁটি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই ঘাঁটি গুলো থেকেই পুলওয়ামা, মুম্বাই হামলার ছক তৈরি করা হয়েছিল।
ভারতীয় সেনার অপারেশন সিদুঁরে পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৭০ জন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পহেলগাম হামলার প্রত্যাঘাত হিসাবে পাকিস্তান এবং পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে যেই সন্ত্রাসবাদী শিবির গুলো ছিল তাতে হামলা চালায় ভারতীব বায়ু সেনা। ৯টি ঘাঁটিকে লক্ষ করে চালানো হয় ২৪টি মিসাইল। একাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, পাকিস্তানের কোন সাধারণ নাগরিক নয় তাদের লক্ষ ছিল সন্ত্রাসবাদীরা। সন্ত্রাসবাদীদের শিবির লক্ষ করেই করা হয়েছে হামলা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং আত্মরক্ষার জন্য এই হামলা বলেই দাবি করেছে ভারতীয় সেনা। 
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ‘‘পাকিস্তান সেনার ঘাঁটিকে লক্ষ করে হামলা হয়নি। হামলা হয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিকে লক্ষ করেই।’’ ভারতীয় বায়ুসেনার কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, ‘‘এই ঘটনার পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যদি কোন আঘাত আসে তাহলে তা মোকাবিলার জন্য তৈরি আছে ভারতীয় বায়ু সেনা।’’
পাকিস্তানের মুজাফফরাবাদ, কোটলি, বাহাওয়ালপুর, রাওয়ালাকোট, চকশ্বরী, ভীম্বর, নীলম উপত্যকা, ঝিলাম এবং চকওয়ালের ন’টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি লক্ষ করে হয়েছে প্রত্যাঘাত। ভারতীয় সেনার দাবি এই জায়গা গুলোয় লস্কর ই তইবা এবং জইস ই মহম্মদের একাধিক ঘাঁটি ছিল। যেখান প্রশিক্ষন দেওয়া হতো সন্ত্রাসবাদীদের। 
জানা যাচ্ছে যেই জায়গা গুলোয় আক্রমণ করা হয়েছে তার প্রতিটি স্থান দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল এবং সেখানে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়া, অপারেশনাল ঘাঁটি হিসেবে কাজ করা বা সন্ত্রাসীদের চলাচলে সহায়তা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ভারতীয় সেনার দাবি স্যাটেলাইট নজরদারি, গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে লস্কর-ই-তইবা এবং জইস-ই-মহম্মদের মতো গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্কিত নির্দিষ্ট ভবন চিহ্নিত করেছিল। 
সূত্রের খবর অভিযানটি যেভাবে পরিচালিত হয়েছিল, তাতে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান এবং পূর্ণাঙ্গ সামরিক আগ্রাসনের মধ্যে পার্থক্য রাখার চেষ্টা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। এক ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে, সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্র তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছিল।

প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে যে নিহত সন্ত্রাসীদের মধ্যে লস্কর-ই-তইবা এবং জইস-ই-মহম্মদের সাথে যুক্ত মাঝারি থেকে উচ্চপদস্থ ফিল্ড কমান্ডার রয়েছেন।

Comments :0

Login to leave a comment