ELEPHANT WATER CRISIS DOOARS

বৃষ্টি নেই, ডুয়ার্সে বন্যপ্রাণ তৃষ্ণার জল পাচ্ছে না এখনও

জেলা

শুকনো খালবিল। তেষ্টা মেটানোর জল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে হাতির পাল। ছবি: প্রবীর দাশগুপ্ত

দীপশুভ্র সান্যাল: জলপাইগুড়ি

রোদের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বৃষ্টি হয়েছে সামান্যই। উত্তরবঙ্গে সামান্য বৃষ্টিতে ধুলো মরেছে কেবল। তাই জল পান করতে এসেও শুকনো গলায় ফিরতে হচ্ছে হাতির দলকে। 
ডুয়ার্সে হাতির পাল জল পাচ্ছে না কারণ জঙ্গলের ভেতর খাল বিল এখনও শুকনো প্রায়। বন্যপ্রাণীদের জলের সঙ্কট মিটছে না। 
জলের অভাবে গলা ভেজাতে পারছে না হাতির দল। ফলে হাতির পালের দল বেঁধে জলপানের  দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন না পর্যটকরাও। এখনও উত্তরবঙ্গেও তীব্র গরম। প্রবল তাপে বিভিন্ন জলাশয়, খালের জল বাষ্প হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে  মানুষের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীরাও ব্যাপক সঙ্কটে পড়েছে৷ পান করার মত জলটুকুও পাচ্ছে না তারা।
তীব্র রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে গাছ, শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়। জলপাইগুড়ির গাজলডোবার রাস্তার পাশের ক্যানেলের বর্তমান পরিস্থিতি এমনই। ফলে সেখানে জল পান করতে এসে শুকনো গলাতেই ফিরতে হচ্ছে হাতিদের। অথচ এক সময় হাতিদের অবাধ আনাগোনা ছিল এ‌ই মহানন্দা ক্যানেলে। তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি এখানে স্নান করতেও দেখা যেত হাতিদের। কিন্তু গরম পড়তেই বন্ধ হয়েছে ক্যানেলের জল ছাড়া।


উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে ঘুরতে আসা পর্যটকরা হাতিদের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, দল বেঁধে জল পান, স্নান করার সময় লুটোপুটি খাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য গজলডোবার এই ক্যানেলের কাছে ভিড় করছেন বেশকিছুদিন। কিন্তু এখন আর সেই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না। ফলে অনেক আশা নিয়ে আসা পর্যটকরা কিছুটা হলেও মুষড়ে পড়ছেন। 
কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা বন্যাপ্রাণের। এমন চলতে থাকলে সঙ্কট আরও তীব্র হবে, বলছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

Comments :0

Login to leave a comment