ও রকম ছেলে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। পুলিশ ওকে ফাঁসি দিক। কাঁদতে কাঁদতে বললেন অভিযুক্ত যুবকের বাবা। আসলে হেরোইনের নেশায় দিনভর বুদ হয়ে থাকতো উত্তম। শুধু উত্তম নয় গ্রামের অনেক ছেলেরাই হেরোইনের নেশায় আসক্ত। শুধুইকি নেশা তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হেরোইনের কারবার চলে রমরমিয়ে। এ ঘটনা পাড়া প্রতিবেশীদের সকলেরই জানা। প্রতিবাদ করার সাহস দেখাননি কেউই। কিন্তু নেশায় হল কাল।
হঠাৎই নেশার ঝোঁকে মাথায় শাবলের বাড়ি মেরে প্রতিবেশীকে খুন করল উত্তম ঢালী। ঠেকাতে এলে এক মহিলা কেও পায়ে শাবলের বাড়ি মারে সে। মৃত ভরত চন্দ্র সরকার পেশায় কৃষক। বৃহস্পতিবার বেলায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার ঝিকরা গ্রামে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এদিন মাঠ থেকে চাষের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বৃদ্ধ। সেই সময় হঠাৎই শাবল নিয়ে তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মাদকাসক্ত উত্তম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বৃদ্ধের মাথায় স্বজোরে শাবলের বাড়ি মারে সে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ। প্রতিবেশী মহিলা বিশাখা সরকার নেশাগ্রস্থ উত্তমের হাত থেকে বৃদ্ধকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও শাবলের বাড়ি দেয় সে। এরপর কোনও রকমে প্রতিবেশীরা উত্তমকে ধরে ফেলে। গ্রামবাসীরা উত্তমকে গাছে বেঁধে মারধর করে পরে থানায় খবর দেয়। গাইঘাটা থানার পুলিশ এসে উত্তম ঢালীকে গ্রেপ্তার করে।
গুরুতর জখম অবস্থায় আক্রান্ত বৃদ্ধ ও ওই মহিলাকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় হেরোইনের নেশায় আসক্ত একাধিক যুবক। রমরমিয়ে চলছে মাদকের কারবার। যার পরিণতিতে এই ঘটনা। অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
Comments :0