মীর আফরোজ জামান: ঢাকা
গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম স্লোগান ছিল বৈষম্য মুক্তির। এখন তা আলোচনায় নেই। বাংলাদেশে মেহনতি শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি শোষণ-বৈষম্যের শিকার।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)'র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স মে দিবসে একথা বলেছেন।
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি অর্থনীতি নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে অথচ এসব মানুষের কথা অনুচ্চারিত থেকে যায়। ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম স্লোগান ছিল বৈষম্য মুক্তির এখন তা আলোচনায় নেই। মহান মে দিবসের বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। অথচ দেশে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষিত হয়নি। প্রকৃত কৃষক ফসলের লাভজনক দাম না পেলেও উৎপাদন অব্যাহত রেখে চলেছেন। বিদেশে অবস্থানরত শ্রমজীবী মানুষ ওই দেশে মানবেতর জীবন যাপন করে, উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন। আর দেশের এক বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষ এই দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে সেই দেশকেই তাদের নিজেদের আবাসভূমি হিসেবে গড়ে তুলছে।
তিনি বলেন, এ অবস্থার পরিবর্তন করে উৎপাদনের সাথে জড়িতদের প্রকৃত মর্যাদা, তাদের জীবন মনের উন্নয়ন করার কাজটি করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এই কাজটি করতে পারে দেশের বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তাই এই রাজনৈতিক শক্তিকেই জয়ী করতে হবে।
তিনি অনতিবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা, শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানের দাবি জানান। খুলনায় রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকলসহ অন্যান্য বন্ধ কারখানা চালু না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সকল স্তরের বেতনের অনুপাত সুনির্দিষ্ট করার জন্য কমিশন গঠনের দাবি করেন।
খুলনায় সভায় সভাপতি ছিলেন মৃণাল পাল।
জনসভার আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে পার্টির নেতা-কর্মীরা লাল পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগ দেয়। জনসভা শেষে শিল্পী দাস কালিদাস সহ অন্যান্য শিল্পীরা গণসংগীত পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি, জাসদ ও অন্য রাজনৈতিক দলসহ দেশ জুড়ে মে দিবসে নানা শ্রমিক সংগঠন কর্মসুচি পালন করে।
Comments :0