Robbed in Baranagar

বরানগরে ব্যবসায়ীকে খুন করে সোনার দোকানে ডাকাতি

রাজ্য জেলা

ইনসেটে নিহত শঙ্কর জানা।

শনিবার বেলা তিনটা নাগাদ বরানগর পৌরাঞ্চলের ২০ নম্বর ওয়ার্ড অন্তর্গত শম্ভুনাথ দাস লেনের একটি সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি ও খুনের ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম শঙ্কর জানা। ঘটনাচক্রে দিল্লিতে থাকলেও, তাঁর পুত্র সিসিটিভি সংযোগের যোগাযোগে সেখান থেকেই দোকানের উপর নজরদারি করতে পারছিলেন। হঠাৎ সিসি ক্যামেরায় কোন ছবি আসছে না দেখে তৎক্ষণাৎ তিনি ফোনে শঙ্কর জানার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ সম্ভব না হওয়ায় বাড়ি এবং আশপাশের লোকজনকে ফোনে যোগাযোগ করে তিনি সিসিটিভি ছবি বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানান। প্রতিবেশী এবং বাড়ির লোকজন দোকানে গেলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃত শঙ্কর জানার রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখা যায়। জানা গেছে, ক্রেতা সেজে পাঁচজন দুষ্কৃতী দোকানে আসে। অভিযোগ হাত-পা বেঁধে দোকানদারকে খুন করে। দোকানের সোনা এবং গহনা ডাকাতি করা হয়েছে। স্বর্ণালংকারের মোট পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলের আশপাশে অনেকগুলি সোনার দোকান আছে। দোকানগুলি সাধারণত বন্ধ থাকে এমন  সময়ে ঘটনাটি হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বরানগর থানা এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দোকানের ভিতর থেকে ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমেছে বরানগর থানার পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানান, অভিযুক্তরা ৫ জন এসেছিলো। প্রথমে ২ জন কাস্টোমার সেজে দোকানের ভিতর প্রবেশ করে। তারপর তারা সোনার গহনা দেখাতে বলে। এরপর দোকানের মালিক শঙ্কর জানা অলংকার দেখাতে শুরু করেন। এরপর বাইরে থাকা আরও দুজন দোকানের ভিতর ঢুকে পরে লংকার গুড়ো ছিটিয়ে দেয় শংকর জানার চোখে। এরপর তাঁকে বেধড়ক মারতে শুরু করে দুস্কৃতীরা। লোহার বস্তু দিয়ে মাথায় বারি মারলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পরেন শংকর জানা। এরপর তাকে হাত-পা বাধা অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় দুস্কৃতীরা। এরপর সিসিটিভিতে শঙ্কর জানার ছেলে দেখতে পেয়ে বরানগর থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। তবে পুলিশ কমিশনার দাবি করেছেন খুব শীঘ্রই তারা দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলবেন।

Comments :0

Login to leave a comment