স্মার্ট মিটার আর লাগাতে দেব না। ইতোমধ্যে যা লাগানো হয়েছে তা খুলে নিতে হবে। বিদ্যুৎ গ্রাহদের অনুমতি বিনা কোথাও স্মার্ত মিটার লাগানো যাবে না এটা গ্রাহকদের আইনগত অধিকার। এই দাবিতে শুক্রবার সিআইটিইউ কর্মীরা বারাসত চাপাডালির মোড়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের ডিভিসনাল ম্যানেজারের কাছে ডেপুটেশন দিতে গেলে পুলিশ গেটের সামনে বাধা দেয়। কিন্তু নাছোড় কর্মীরা অফিসের ভেতর ঢুকবেই। অবশেষে পুলিশ মারমুখি হয়ে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। অবশেষে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল ডিভিশনাল ম্যানেজারের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন। এদিন সিআইটিইউ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত কর্মীরা বিদ্যুৎ দপ্তরের সামনে উপস্থিত হন। জমায়েতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিআইটিটিউ নেত্রী গার্গি চাটার্জি বলেন, উন্নত প্রযুক্তির নামে গরিব মানুষকে বিদ্যুতের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে এই স্মার্ট মিটার। বিদ্যুৎ দপ্তরের জন্মকাল থেকে অর্থাৎ ৭০ বছর ধরে বিদ্যুতের দামে ক্রস সাবসিডি পদ্ধতি চালু আছে। এর ফলে যারা কম বিদ্যুৎ ব্যাবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম কিছুটা কম থাকে স্লাব অনুযায়ী। প্রিপেইড স্মার্ট মিটারিং স্কীমে বিদ্যুতের দামের স্ল্যাব পদ্ধতি তুলে দিয়ে গ্রাহকদের ক্রস সাবসিডি পাওয়ার আইনী সুবিধা কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে স্মার্ট মিটারিং স্কীমে। যা আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। ক্রস সাবসিডি উঠে গেলে বিদ্যুতের দাম অনেক বেড়ে যাবে। অধিকাংশ গ্রাহকদের এত দামি বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষমতাই থাকবে না। বিদ্যুতের ব্যাবহার তাদের নাগালের বাইরে চলে যাবে। অন্ধকার নেমে আসবে ঘরে ঘরে। এছাড়া ৭৫ বছর ধরে তিল তিল করে জনগনের অর্থে গড়ে তোলা ১০০ শতাংশ সরকারি মালিকাধীন বিদ্যুৎ শিল্পকে বেসরকারি মালিকদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রথম ধাপ স্মার্ট মিটার। এই প্রচেষ্ঠার বিরুদ্ধে সিআইটিইউ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এছাড়াও এদিন বক্তব্য রাখেন সৈকত রায়, বেলা পাত্র, বরুন ভট্টাচার্য ও সঞ্জয় চক্রবর্তী। সভাপতি ছিলেন জহর ঘোষাল। এদিন মিটিং শেষে মিছিল বারাসত পরিক্রমা করে। ডেপুটেশন দেন, রানা গুপ্ত, বরুন ভট্টাচর্য, সুশান্ত দেব, মৃণাল মজুমদার। বিদ্যুৎ দপ্তরের সামনে জমায়েতে ছিলেন সিপিআই(এম) নেতা সায়নদীপ মিত্র, আহমেদআলি খান, দেবশংকর রায়চৌধুরী, ঝন্টু মজুমদার, রাজীব বিশ্বাস, পুলক কর প্রমুখ।