ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারদের নাম দ্রুত মুছে ফেলার লক্ষ্যে, ভারতের নির্বাচন কমিশন জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার ডেটাবেস কাছ থেকে সরাসরি ইলেকট্রনিক তথ্য সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার কমিশনের এক আধিকারিক এই খবর সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন। ভুয়ো এবং ভূতুড়ে ধরতে কমিশনের এই পদক্ষেপ। ফলে যখন কোনও ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নথিভুক্ত হবে,তখন কমিশনের সিস্টেমেও সেই তথ্য নথিভুক্ত হয়ে যাবে।
কমিশন সূত্রে খবর, একটি বিশেষ সফটওয়্যার বা সিস্টেমের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা বুথ লেভেল অফিসারদের যুক্ত করা হয়েছে। ফলে জন্ম বা মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন হলেই সেই তথ্য সরাসরি ভোটার তালিকা তৈরীর কাজে যুক্ত কর্মীর কাছে পৌঁছে যাবে। এছাড়াও, ইসিআই ভোটার তথ্য স্লিপের নকশা আরও ভোটারদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছে। ভোটারের ক্রমিক নম্বর এবং বুথ নম্বর এখন আরও স্পষ্ট হবে। ফন্টের আকার বৃদ্ধি করা হবে, যার ফলে ভোটাররা তাদের ভোটকেন্দ্র সনাক্ত করতে এবং পোলিং অফিসাররা দক্ষতার সাথে ভোটার তালিকায় তাদের নাম খুঁজে পেতে পারবেন। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, শুধু ইলেকট্রনিক্যালি তথ্যের ভিত্তিতে নয় আরজিআই সিস্টেম থেকে যে তথ্য নির্বাচন কমিশনে আপডেট হচ্ছে, সেই তথ্যের ভিত্তিতে সরোজমিনে তদন্ত করে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মীদের। সেক্ষেত্রে নাম বাদ দেওয়ার আগে ভেরিফিকেশন বা যাচাই পদ্ধতিকে মান্যতা দিতে চায় কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে, আধিকারিক বলেন, “কমিশন এখন ১৯৬০ সালের ভোটার রেজিস্ট্রেশন বিধিমালার ৯ নম্বর নিয়ম এবং ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন আইনের ৩(৫)(খ) ধারা (যা ২০২৩ সালে সংশোধিত) অনুসারে ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে ইলেকট্রনিকভাবে মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন তথ্য সংগ্রহ করবে।” আধিকারিক বলেন, ভোটার তালিকা সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজে যুক্ত বিএলওদের সচিত্র পরিচয় পত্র দেওয়ার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটারদের আস্থা অর্জনে বিএলওদের পরিচয় পত্র গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশন।
Comments :0