রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি এবং উত্তরবঙ্গের বাম আন্দোলনের অন্যতম কিংবদন্তী কমরেড বনমালী রায় আর নেই। বুধবার সকালে ধূপগুড়িতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা। তাঁর প্রয়াণে জেলার রাজনৈতিক মহল এবং আপামর শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কমরেড বনমালী রায় ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার বামপন্থী আন্দোলনের এক অত্যন্ত পরিচিত ও অগ্রণী মুখ। দীর্ঘদিনের পার্টি সদস্য হিসেবে প্রগতিশীল রাজনীতি এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল সর্বজনবিদিত। তাঁর বর্ণময় রাজনৈতিক জীবন ছিল সাফল্যের মোড়কে মোড়া। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে পরপর পাঁচবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে তপশীল ও আদিবাসী দপ্তরে এবং ১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালে বন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। পরবর্তীকালে, ২০০৩ সালে তিনি জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হন এবং নিষ্ঠার সঙ্গে সেই গুরুদায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘ সময় ধরে তিনি ধূপগুড়ি তৎকালীন জোনাল কমিটির সম্পাদক এবং জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ জেলার বামফ্রন্টকে মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করাতে সাহায্য করেছিল। কমরেড বনমালী রায়ের জীবনাবসানে তাঁর আদর্শ ও নিষ্ঠাভরা রাজনৈতিক জীবন পার্টির সমস্ত কর্মীদের প্রেরণা জোগাবে। তাঁর শূন্যস্থান পূরণ হওয়া কঠিন। পার্টি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।
কমরেড বনমালী রায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা বিমান বসু,
পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য সলিল আচার্য, জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পিযুষ মিশ্র, ধুপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক মমতা রায়, পার্টির রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য জিয়াউল আলম, পার্টির বর্ষীয়ান নেতৃত্ব প্রাক্তন সংসদ জিতেন দাস।
Comments :0