ভাঙন এবং বন্যায় বিপর্যস্ত মুর্শিদাবাদ এবং মালদহের লক্ষ লক্ষ মানুষ। অথচ, রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নেই। স্থানীয় স্তরে আন্দোলনের পর দুই জেলার জনতাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালো বামফ্রন্ট।
এদিন ‘ফরাক্কা চলো’ কর্মসূচিতে যোগ দেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ছিলেন মুর্শিদাবাদ ও মালদহের নেতৃবৃন্দ।
দাবি উঠেছে, জাতীয় নদী গঙ্গার ভাঙনকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করতে হবে কেন্দ্রের সরকার। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রকে বিপন্ন মানুষের পুনর্বাসনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। দিতে হবে বিকল্প জমি ও ঘর। ভাঙন রোধের স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে রাজ্য ও কেন্দ্রকে যৌথ দায়িত্ব নিতে হবে।
বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন রোধের কাজেও বিপুল দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে। বামফ্রন্টের নেতৃত্বে হয়েছে প্রতিবাদ। বালির বস্তা ফেলে প্রচুর খরচ দেখানো হচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। চলছে টাকা লুট।
দাবি উঠেছে, ফরক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। বর্ষার সময় ভাঙনের কাজের নাম করে টাকা জলে দেওয়া যাবে না। সুখা মরশুমে করতে হবে ভাঙনের কাজ। কৃষকের জমির মালিকানা ও নিরাপত্তা দিতে হবে।
এদিন বিক্ষোভ ও ডেপুটেন কর্মসূচিতে যোগ দেন বহু মানুষ। দুই জেলায় বন্যা ও ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে টানা প্রচার, মিছিল চালিয়েছে বামফ্রন্ট।
Farakka Chalo
‘ফরাক্কা চলো’ অভিযানে ভাঙন রোধের দাবিতে সরব বামফ্রন্ট

×
Comments :0