Leftists are on the side of the people

মানুষের পাশে আছে বামপন্থীরা এসআইআর নিয়ে আতঙ্কে কোনও ভুল নয় : সুজন চক্রবর্তী

রাজ্য

নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক মেরুকরণ করতে এনআরসি’র মতো এসআইআর নিয়েও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিজেপি এবং তৃণমূল। রবিবার সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করে সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, এসআইআর নিয়ে তৃণমূল আর বিজেপি মানুষকে আতঙ্কিত করতে চাইছে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। এর আগে এনআরসি নিয়েও ওরা একাজ করেছিল। মানুষকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, আতঙ্কে কোনও ভুল করবেন না। পশ্চিমবঙ্গে বরাবর বামপন্থীরা যেভাবে মানুষের পাশে ছিল, এখনও সেভাবেই থাকবে। আমরা ভোটার তালিকা থেকে কোনও প্রকৃত নাম বাদ দিতে দেবো না, তালিকায় ভুতও থাকতে দেবো না। তার জন্য আমরা বামপন্থী কর্মীরা রাস্তায় থেকে মানুষকে সহায়তা করবো, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া ঠেকানোর জন্য দরকার হলে আদালতে এবং যতদূর যেতে হয় যাবো। 
এস‌আইআর নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষকে সাহায্য করতে, তথ্য দিতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন সিপিআই(এম) কর্মীরা, কোথাও প্রকাশ্যে তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও চেয়ার টেবিল পেতে বসে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রবিবার সিপিআই (এম)’র উদ্যোগে পূর্ব যাদবপুরের গড়ফা সংস্কৃতি চক্রের সামনে এবং মধ্য যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগানে কেন্দুয়া মোড়ে আয়োজিত ভোটার অধিকার সুরক্ষা কেন্দ্রে আসা স্থানীয় মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সুজন চক্রবর্তী। এই এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক হিসেবে বহু মানুষ এসে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এখানেই এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা কেন আত্মহত্যা করেছেন তা তদন্ত করে দেখা হোক। মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে। কারণ এসআইআর ঘিরে বিজেপি এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে নানাভাবে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। কেউ ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে, কেউ গাছে বেঁধে রাখার হুমকি দিচ্ছে। প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখতে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু সেই যোগ্যতা ও ক্ষমতা নির্বাচন কমিশন হারিয়েছে। 
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর নিজেই কিভাবে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন তার উদাহরণ দিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বদলে বলছেন, দু’-তিনবার ভোট দিতে না পারলেও পরে সিএএ তে নাম ঢুকিয়ে দেবো! তার মানে কি? তার মানে বহু মানুষ এবার ভোট দিতে পারবেন না, ওরা ভোটাধিকার কাড়বে, ডি-ভোটার করবে, তারপর আসামের মতো বিপদে ফেলবে! এসব মানুষ মেনে নেবে? কখনোই নয়। আমরা এই জন্যই মানুষের পাশে থেকে সহায়তা করছি। 
......................................................
ক্যাপশন: ১। রবিবার সিপিআই (এম)’র উদ্যোগে পূর্ব যাদবপুরের গড়ফা সংস্কৃতি চক্রের সামনে এবং মধ্য যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগানে কেন্দুয়া মোড়ে আয়োজিত ভোটার অধিকার সুরক্ষা কেন্দ্রে মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সুজন চক্রবর্তী। ছবি: মদনমোহন সামন্ত

Comments :0

Login to leave a comment