ইজরায়েলকে ‘কাজ শেষ করতে হবে’ গাজায়। ‘শেষ করতে হবে হামাসকে’। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এমন মন্তব্যের আগেই ‘ওয়াক আউট’ করলেন একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা।
গাজায় ‘কাজ শেষ’ করার নমুনা শুক্রবারও জারি রেখেছে ইজরায়েলের আগ্রাসী বাহিনী। গাজার প্রশাসন জানিয়েছে অন্তত ৫১ প্যালেস্তিনীয়কে হত্যা করেছে ইজরায়েলের সেনা।
গাজায় ৬৫ হাজারের বেশি প্যালেস্তিনীয়কে হত্যা করেছে ইজরায়েল। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে যোগ দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু। টাইমস স্কোয়ারে গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছে বিক্ষোভ। আন্তর্জাতিক স্তরে বিচ্ছিন্নতার মুখে পড়েছে ইজরায়েল। তবে ভ্রূক্ষেপ নেই নেতানিয়াহুর। ইজরায়েলে তাঁর বিরোধী বিভিন্ন অংশ বলছে, দুর্নীতির বিচার থেকে নিজেকে বাঁচাতেই গাজায় সেনা আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। জরুরি অবস্থা দেখিয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে ঠেকিয়ে রাখতে চাইছেন তিনি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ আসলে গাজার মানুষকে হুমকি। গাজা থেকে প্যালেস্তিনীয়দের তাড়িয়ে দিতে নেমেছে ইজরায়েল। সেই ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার গাজাবাসীকে দেখতে বাধ্য করেছে ইজরায়েলের সেনা। লাউডস্পিকারে শোনানো হয়েছে ভাষণ।
কিন্তু হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলের নাগরিকদের একাধিক পরিবার এই জবরদস্তির নিন্দা করেছে। সংবাদমাধ্যমে এমন বিভিন্ন পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, বন্দিদের মুক্ত করার দিকে যে নজরই নেই নেতানিয়াহুর তা স্পষ্ট।
এদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় হল ছেড়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের বেরিয়ে যাওয়ায় স্পষ্ট নেতানিয়াহু এবং ইজরায়েল-মার্কিন নীতিতে ক্ষোভ কতটা। স্বল্প একটি অংশকে দেখা যায় নেতানিয়াহুকে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানাতে।
নেতানিয়াহু এদিন মধ্য প্রাচ্যে অশান্তির জন্য দোষ দিয়েছেন ইরানের। আর প্রশংসা করেছেন প্রধান মদতদাতা আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এদিন ট্রাম্প দাবি করেছেন গাজায় বন্দি দের মুক্তির চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কাছাকাছি চলে এসেছে।
Netanyahu UN
রাষ্ট্রসঙ্ঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের মুখে ‘ওয়াক আউট’

×
Comments :0