গত বছর তিনবার সূচি বদলেছিল পরীক্ষার। এবার নির্ধারিত দিনের ঠিক ১২ দিন  আগেবদলেছে মেডিক্যালে স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকা ‘নিট পিজি’-র সূচি। গোটা ঘটনায়, অতিরিক্ত কেন্দ্রীকরণ এবং বেসরকারি সংস্থার ওপর অপ্রয়োজনীয় ভরসার নীতিতে প্রশ্ন তুলল এসএফআই।
বিবৃতিতে ছাত্র সংগঠন এসএফআই’র দাবি, পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়াতে হবে। তা না হলে সুবিধাজনক পরীক্ষা কেন্দ্রে বসার সুযোগ পাবেন না ছাত্রছাত্রীরা। 
পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে পরীক্ষার্থীদের যেন বাধ্য হতে না হয়, সে দাবিও তুলেছে এসএফআই। পাশাপাশি সংগঠনের সভাপতি ভিপি সানু এবং সাধারণ সম্পাদক ভিপি সানু বিবৃতিতে বলেছেন, যে ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়বে তাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই সমস্যার জন্য দায়ী মেডিক্যাল সায়েন্সে পরীক্ষা নেওয়ার জাতীয় বোর্ড এনবিইএমএস। 
এসএফআই’র দাবি, বেসরকারি সংস্থাকে পরীক্ষা নেওয়ার কাজে যুক্ত করা বন্ধ করতে হবে। পরীক্ষার স্বচ্ছতা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে। 
এ বছরের ‘নিট পিজি’ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ১৫ জুন। চার মাস আগে সম্ভাব্য দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। দু’মাস আগে ফের দিনটি নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু পরীক্ষার দু’সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে, গত ২ জুন, পরীক্ষা পিছানো হবে বলে জানানো হয়। 
এসএফআই বলেছে, ২ লক্ষ পরীক্ষার্থীর থেকে ৬০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে পরীক্ষার ফি বাবদ। এমন চড়া হারে ফি নেওয়ার পরও অব্যবস্থা কেন। এনবিইএমএস পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়াতে পারছে না কেন। তার বদলে বেসরকারি সংস্থাকে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব আউটসোর্স করে দিয়েছে।