Rampurhat

উন্নয়নের কঙ্কালসার চিত্র রামপুরহাট মহকুমা জুড়ে, বাড়ছে ক্ষোভ

জেলা

ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের ওলা গ্রামের দ্বারকা নদীর উপর বাঁশের সাঁকো। ছবি: রুহুল আমিন।

ঢাক-ঢোল পিটিয়ে উন্নয়নের পাঁচালি নিয়ে গ্রামে গ্রামে মাইক প্রচার করছে রাজ্য সরকার ঠিক তখনই বেরিয়ে এলো বীরভূম জেলার খোদ দুটি ব্লকের উন্নয়নের চিত্র। এমনি অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

রামপুরহাট মহকুমার ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের বাজিতপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ওলা গ্রাম এবং মুরারই-২ ব্লকের আমডোল পঞ্চায়েতের খুঁটকাইল-রামচন্দ্রপুর এই তিনটি গ্রামে তৃণমূলের ১৪ বছরে উন্নয়ননের চিহ্ন মাত্র নেই। খুব কষ্ট করে তাদের জীবনযাপন চলে।                            ময়ূরেশ্বর-১ব্লকের ওলা গ্রামকে তিনদিক ঘিরে রেখেছে দ্বারকা নদী। বর্ষার সময় নদীর জলস্তর বাড়লেই গ্রামের মানুষজন গৃহবন্দি হয়ে পড়েন। সারা বর্ষাকালে এই ভাবেই ওই গ্রামের মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন কাজ সব বন্ধ পড়ে ৬ মাস ধরে। শনিবার ওই গ্রামের শিক্ষক বারিদবরন মন্ডল, গ্রামবাসী সোমনাথ টূডু, অমর মন্ডল রা অভিযোগ করে বলেন, "এই গ্রামের দ্বারকা নদী বর্ষাকালে ভয়ঙ্কর আকার ধারন করে। গত বর্ষার সময় একজন নদী পার হতে গিয়ে জল ডুবে মারা যায়। গ্রামে নেই কোনও প্রাথমিক স্কুল বা আইসিডিএস সেন্টার। বর্ষার সময় ছেলে মেয়েরা নদী পেরিয়ে স্কুলে যেতে পারেনা। বাম আমলে একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র থাকলেও শিক্ষিকার অভাবে দুইবছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ। আপদে বিপদে রোগীকে খাটে করে নিয়ে যেতে হাসপাতালে। এই গ্রামে ৫০০ পরিবার। ভোট আসে ভোট যায় দেওয়া হয় ব্রিজের প্রতিশ্রুতি কিন্ত হয়নি দ্বারকা নদীর ব্রিজ। এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে বর্ষার পর কোনও রকম নদী পারাপার করেন। একপাড়ে ওলা গ্রাম অন্যদিকে বাজিতপুর গ্রাম । মুদিখানার জিনিস সহ যেকোনো প্রয়োজনে যেতে হয় বাজিতপুর গ্রামে। 
গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ করে বলেন, ওলা গ্রামকে চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে অনুন্নয়ন। ভালো পানীয় জল নেই। নেই ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা। শিক্ষার হাল বেহাল। সেইকারনে গ্রামের যুবক যুবতীদের বিয়ে দিতে প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে পড়েছি। দ্বারকা নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবিতে পঞ্চায়েতসমিতি, জেলাপরিষদ এবং নবান্নে পিটিশন পাঠিয়েছি কিন্তু সুরাহা হয় নি।

একই অভিযোগ মুরারই-২ ব্লকের আমডোল পঞ্চায়েতের খুঁটকাইল -রামচন্দ্রপুর গ্রামের। উন্নয়নের নাম গন্ধ নেই। পাগলা নদী দুই গ্রামের মধ্য দিয়ে গেছে। গ্রামদুটি সংখ্যালঘু অর্ধ্যুসিত।  শীত গ্রীষ্ম বর্ষাতে একই হাল। বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পরিষদে বহু আবেদন নিবেদন করলেও ওই নদীর উপর ব্রিজ তৈরী হয়নি। ফলে স্কুল কলেজ হাটবাজার বাঁশের সাঁকো আমাদের ভরসা। গ্রামবাসীরা জানান ভোটের সময় হলেই এই ব্রিজ নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও হয়নি ব্রিজ।

                                                  
 

Comments :0

Login to leave a comment