বিধানসভার অধিবেশনে শেষ দিনে চললো বিশৃঙ্খলা। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয় হাউস। বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক ও বাংলা ভাষা অবমাননা নিয়ে আলোচনা ছিল বৃহস্পতিবার। একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড ও করা হয় এদিন।
পরিযায়ীদের হেনস্তা এবং শারীরিক আক্রমণের ঘটনা চলছে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে। আধার, ভোটার কার্ডের মতো নথি দেওয়ার পরও, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির পুলিশ, সংখ্যালঘু বাংলাভাষী পরিযায়ীদের বাংলাদেশি বলে হেনস্তা করছে। এমনকি সীমান্ত পার করে জোর করে ওপারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বারবারই বিধানসভা অধিবেশন ডেকে প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রের কাছে পাঠানোর দাবি তুলেছে সিপিআই(এম)। কারণ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকাতেই চলছে এমন ধরপাকড়।
কিন্তু তৃণমূল সরকার বিধানসভা অধিবেশন ডেকেছে অনেক দেরিতে, সেপ্টেম্বরে। এদিন সেই অধিবেশন শেষও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কতটা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। বিজেপি রাজ্যের মানুষের থেকে ভোট নিলেও গোড়া থেকে অধিবেশনে মূল আলোচনাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি বলে গিয়েছে।
এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রবেশ করার পরই বিক্ষোভ দেখতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিকে কেন সাসপেন্ড করা হলো সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে সতর্ক করেন স্পিকার। পরে শঙ্কর ঘোষকেও সাসপেন্ড করা হয়। স্পিকার মার্শালদের নির্দেশ দেন শঙ্করকে বিধানসভা কক্ষ থেকে থেকে বের করে দেওয়ার জন্য। তখনই পরিস্থিতি উত্তাল হয়।
অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রী বলতে থাকেন, বিজেপি বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনা চায় না। এরপরই স্লোগান দিতে শুরু করে তৃণমূলের বিধায়করা। একদিকে ‘চোর চোর’ স্লোগান অন্যদিকে ‘জয় বাংলা স্লোগান’। দুই পক্ষের চিৎকারে বন্ধ হয় অধিবেশনের কাজ। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ, অশোক দিন্দা, ও মিহির গোস্বামীকেও সাসপেন্ড করা হয়। 'চাকরি চোর গদি ছোড়’স্লোগান দেয় বিজেপি। পাল্টা তৃণমুল ‘মোদী চোর গদি ছোড়'।
বাংলা ভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তার প্রতিবাদে কোনও আলোচনায় এদিন বিধানসভায় হয়নি। অথচ দিনকয়েক আগেও মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা করা হয় ওড়িশার ভুবনেশ্বরে। হাত পা বেঁধে মারধরও করা হয়েছে।
bengal assembly ruckus
চলল ‘ভোটচোর’‘চাকরিচোর’ স্লোগান, বিশৃঙ্খলার বিধানসভায় বাদ পরিযায়ী হেনস্তাই

×
Comments :0