general strike

ধর্মঘট ৯ জুলাই, কলকাতার মিছিলে শ্রমজীবীর ঐক্যের ডাক

জাতীয় রাজ্য কলকাতা

কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ১২ জুলাই কমিটির ডাকে কেন্দ্রীয় মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ধর্মতলা থেকে কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত এই মিছিল হয়। দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মটের সমর্থনে ও শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড বাতিল সহ পহেলগাম পরবর্তীতে গোটা দেশের ঐক্য সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা নিয়ে এই মিছিল সংগঠিত হয়। 
তবে এই মিছিলের পরই কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ধর্মঘট পিছিয়ে ৯ জুলাই করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশ কঠিন সমসয়ের মধ্যে দিয়ে গেলেও শ্রমজীবী বিরোধী শ্রমকোড প্রয়োগের কাজ চালিয়েই যাচ্ছে কেন্দ্রের সরকার।  
ব্যাঙ্ক বীমা রেল সহ দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প গুলি পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে, কমপক্ষে ২৬হাজার টাকা মজুরির দাবিতে, সম কাজে সম বেতন, আইসিডিএস ও আশা কর্মীদের শ্রমিকের মর্যাদা দিতে হবে এই সকল দাবি নিয়ে মিলছিল সংগঠিত হয়। 
সিআইটিইউ রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, "ধর্মঘটের সমর্থনে আজকে আমাদের মিছিল। কেন্দ্রীয় সরকার শ্রম কোড লাগু করার মধ্যে দিয়ে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে গোটা দেশের শ্রমিক শ্রেণী, কর্মচারী সংগঠন প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল, প্রতিরক্ষা কলকারখানা ও আমাদের দেশের জাতীয় সম্পদ আদানি আম্বানি সহ পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিতে চাইছে। যার ফলে গোটা দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যাচ্ছে। গোটা দেশে ভয়ঙ্কর বেকারি বাড়ছে, মানুষের রুজি রোজগার আক্রান্ত হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন করা হচ্ছে ধর্মের ভিত্তিতে। সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি, হিংসা ঘৃণা পরিবেশ বিজেপি আরএসএস দেশের মানুষের মধ্যে ভাগ করার চেষ্টা করছে। এখন দেশের শ্রমিক শ্রেণির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কলকারখানা বাঁচানো নয়, তার সঙ্গে দেশের সম্প্রীতি ঐক্যকে রক্ষাও। এই লড়াইয়ে শ্রমজীবীদের প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।"
সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, এআইইউটিইউসি, টিইউসিসি, ইউটিইউসি, আইএনটিইউসি, এআইসিসিটিইউ ও ১২ জুলাই কমিটি এই মিছিলে অংশ গ্রহণ করে।

Comments :0

Login to leave a comment