Jaldhaka Dam Collapse

জলঢাকা নদীর বাঁধ ভেঙে বিপর্যস্ত দু'টি গ্রাম, আতঙ্কে হাজার হাজার মানুষ

জেলা

​টানা বৃষ্টিতে জলঢাকা নদীর বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে ধূপগুড়ি ব্লকের বগরিবাড়ি ও চরচরাবাড়ি এলাকা। শনিবার গভীর রাতে নদীর জল আচমকা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জলবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার মানুষ। আতঙ্কে কাতারে কাতারে গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে স্কুল ও অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন। যদিও ব্লক প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন, তবুও উদ্ধারকার্য নিয়ে উঠেছে চরম গাফিলতির অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, বাঁধ ভাঙার বহু ঘণ্টা কেটে গেলেও কোনো উদ্ধারকারী দল বা স্পিডবোট এখনও পর্যন্ত এলাকায় পৌঁছায়নি। ফলে জলের তোড়ে আটকে পড়া গ্রামবাসীদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রশাসনকে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকেই ডুয়ার্স জুড়ে ভারী বর্ষণ চলছে। ফলস্বরূপ, জলঢাকার পাশাপাশি তিস্তা, তোর্সা-সহ একাধিক নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়াকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা সম্পূর্ণ জলের তলায়। বহু বাড়ি জলের তোড়ে প্রায় ডুবে গিয়েছে। গধেয়াকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজয় রায় জানান, “জলঢাকা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে কুর্শামারি, বগরিবাড়ি-সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন। বহু পরিবার ঘরবাড়িতে আটকে রয়েছে। প্রশাসনের তরফে ত্রাণ ও উদ্ধার দ্রুত শুরু হওয়া প্রয়োজন।” ​স্থানীয় বাসিন্দা মনি রায় তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেন, “সকালে উঠেই শুনি নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। চারদিক জলমগ্ন। আমাদের ঘরেও জল ঢুকে পড়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে।”
​এই বিপর্যয়ের মুখে প্রশাসন জানিয়েছে, দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ঠিক কখন সকল বাসিন্দাকে নিরাপদে আনা সম্ভব হবে, তা নিয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট বার্তা মেলেনি। জলবন্দী মানুষগুলির কাছে এই অনিশ্চয়তা নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

Comments :0

Login to leave a comment