Operation Sindoor debate

ট্রাম্প নিয়ে নীরব, ৩৭০ এর পক্ষে সাওয়াল করলেন শাহ

জাতীয়

৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার ফলে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা সংখ্যা কমেছে। লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এতদিন মোদী মন্ত্রিসভার এই সদস্য দাবি করতেন সন্ত্রাসবাদী কাজ কর্ম কাশ্মীরের মাটিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এদিন চাপে পড়ে মানতে বাধ্য হলেন, সন্ত্রাসবাদী হামলা কমেছে। পরিসংখ্যানও পেশ করেছেন তিনি লোকসভায়।
এদিন অমিত শাহ দাবি করেছেন অপারেশন মহাদেবে যেই তিনজন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে দুজন পহেলগাম সন্ত্রাসবাদী হামলার সাথে যুক্ত ছিলেন, তাদের ভোটার কার্ড এবং অস্ত্র নাকি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
শাহ বলেন, অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের ওপর কোন আঘাত আনেনি। আঘাত আনা হয়েছে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি গুলোর ওপর।
ট্রাম্প প্রসঙ্গে নীরব থেকে কংগ্রেসকে নিশানা করে শাহ বলেন, ‘‘১৯৪৮ সালে ভারতীয় সেনা চেয়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করার। কিন্তু তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা করেন।’’ তিনি দাবি করেন, ‘২০০৫ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ২৭টি সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। কংগ্রেস সরকার কি করেছে পাকিস্তানকে চিঠি পাঠানো ছাড়া?’ তিনি আরও দাবি করেন, কাশ্মীরে বর্তমানে কোন স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠন নেই।
বিরোধীদের পক্ষ থেকে ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি বলার সময় বলেন, ‘কেন এই ধরনের সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটবে সেটা বিচার করা প্রয়োজন। আশা করবো এই আলোচনার পর সরকার রাজি হবে বিশেষ ভোটার তালিকা সমীক্ষা নিয়ে আলোচনার। পুলওয়ামা ঘটনার রিপোর্ট এখনও জানা গেলো না? কি ভাবে বিস্ফোরক দেশে ঢুকলো বোঝা গেলো না। মুম্বাই হামলার পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দায় নিয়ে ছিলেন। ওনার সমালোচনা করা হচ্ছে কিন্তু ওনার কর্তব্য বোধ দেখে শেখা উচিত। কেন এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় সরকার কোন দায় নিল না? নিহতদের পরিবারের প্রতি সরকার কেন কোন সমবেদনা নিল না? তাদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া বা পরিবারের জন্য কেন সরকার কোন পদক্ষেপ নিল না?’

ডিএমকে সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, সোফিয়া কুরেশি এবং বিক্রম মিশ্রিকে যখন অপমান করা হলো তখন কেন সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের পর গোটা দেশের সব দল ছিল সরকারের পাশে কিন্তু সরকার একবারের জন্য মনে করেনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করার। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রায় বিশ্বের সব দেশে ঘুরেছেন। কিন্তু পহেলগাম ঘটনার পর দেখা গেলো কোন দেশ ভারতের পক্ষে সেই সময় দাঁড়ায়নি। ভারতের বিদেশ নীতি আজ এই পর্যায় এসে দাঁড়িয়েছে যে কোন দেশ তার পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের সমালোচনা করছে।’

Comments :0

Login to leave a comment