Bangladesh

বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের অংশ নিচ্ছে না ওয়ার্কার্স পার্টি

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিচার করে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশে যেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন হওয়া কোন ভাবে সম্ভব নয়। হাসিনা সরকারের বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। দুজন সংখ্যালঘু যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই সংবাদপত্রের দপ্তরে। ভাঙা হয়েছে ছায়ানট, উদিচী। এই সব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে। 
এছাড়া তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচন জামানতসহ সিডি কেনার যে শর্ত এবং অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে কালো টাকা উৎসারিত দল বা ব্যক্তিদের সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে, গণমানুষ, সৎ, যোগ্য মানুষকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা অবাধ, লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডকে অনুমোদন দেয় না, কালোটাকার প্রভাব মুক্ত নির্বাচনের কোন প্রতিপালন দেখা যাচ্ছে না। 
উল্লেখ্য ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন থানা লুট হওয়া অস্ত্র, বর্তমান আইন শৃঙ্খলা অবনতিতে ব্যবহারিত বিভিন্ন অবৈধ  আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাচ্ছে যা এখন পর্যন্ত উদ্ধার সম্ভব হয়নি। নির্বাচন চলাকালিন সময়ে ঐ সকল অস্ত্র নির্বাচনী হিংসায় ব্যবহৃত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। 
ওয়ার্কার্স পার্টির কথায়, নির্বাচনী গণতন্ত্রের ধারায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির অতীতে বহু নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, সংসদে ও সরকারে থেকে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। দুভার্গ্যজনক হলেও সত্যি অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও তার সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় সরকারে সমর্থিত মবগোষ্ঠী ১৩ নভেম্বর ২০২৫ থেকে দখলে রেখেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর ১০ দফা প্রস্তাবের স্মারকলিপি ও দরখাস্ত প্রেরণের পরও তা উদ্ধার হয়নি, নির্বাচন কমিশনারের কোন উদ্যোগও পরিলক্ষিত হয়নি। পুলিশ, সেনাবাহিনী, কোর্টের আশ্রয় নেওয়া হলেও, কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। গোটা বিষয়টি একটি ভয়ভীতিহীন নিরপেক্ষ আচরণ নির্দেশিত  করে না।
হাসিনা সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার করা হয় মুক্তি যোদ্ধা এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সহ একাধিক নেতাকে। বিবৃতিতে ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, মিথ্যা মামলায় আটক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার মিথ্যা মামলা, পলিটব্যুরোর সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ সহ কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, এড. টিপু সুলতান সহ বহু নেতা কর্মীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে সকলের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কোন উদ্যেগ নেয়নি। ওয়ার্কার্স পার্টিকে রাজনৈতিক চাপে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে যা নির্বাচন অংশ গ্রহণের পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment