প্রিপেইড স্মার্ট মিটাটের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখালো সিআইটিইউ, বস্তি সংগঠন ও সিআইটিইউ অনুমোদিত বিদ্যুৎ সহায়ক ইউনিয়ন ও বিদ্যুৎ ওয়ার্কমেন্স ইউনিয়ন। মঙ্গলবার পাওয়ার হাউস পাড়া জোনাল অফিসে ব্যাপক জমায়েতের মধ্য দিয়ে ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রায় ৪৫০ সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকের অসম্মতি জানিয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। জমা নিতে আপত্তি করলেও পরবর্তীকালে সংগঠনের চাপে আবেদন জমা নিতে বাধ্য হয়। পাড়ায় পাড়ায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভে বিক্ষোভ তৈরি হচ্ছে, ক্ষোভে ফেটে পড়ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। ডেপুটেশন দিতে যান প্রশান্ত দাস চৌধুরী, শহিদুল আকবর, স্বপন চক্রবর্তী, প্রলয় আইচ, অসিত চক্রবর্তী।  এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি নজরুল ইসলাম, দীপঙ্কর দে, দেবদুলাল ঠাকুর, সোহম ঘোষ। শ্রমিক নেতৃত্ব বলেন, বিদ্যুৎ বেসরকারিকরণের নামে কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এই প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসাচ্ছে। বিদ্যুৎ আইন ২০০৩ পরিষ্কার উল্লেখ আছে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বাধ্যতা মূলক নয়। বিদ্যুৎ দপ্তর প্রাইভেট এজেন্সিকে দিয়ে ভুল বুঝিয়ে, কিছু কিছু গরিব এলাকায় জোরপূর্বক এই প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বর্ধমান শহরে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ গড়ে উঠছে। এই স্মার্ট মিটার চালু হলে কাজ হারাবে হাজার হাজার ঠিকা শ্রমিক। স্থায়ী কর্মীদেরও চাকুরীর নিশ্চয়তা থাকবে না। বিদ্যুৎ একটি পরিষেবা ক্ষেত্র। এই সিস্টেম চালু হয়ে গেলে এখন আপনি যা বিল পেইমেন্ট করছেন তার থেকে তিন চারগুণ বেশি বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে। নেতৃত্ব আরও বলেন এই মিটার খারাপ হলে গ্রাহককে টাকা দিয়ে পাল্টাতে হবে। কৃষি খরচ বাড়বে, শিল্পে খরচ বাড়বে। এর ফলে সব জিনিসের দাম বাড়বে। মোদী মানুষকে ভুল বুঝিয়ে গোল গোল কথা বলে সব বেসরকারিকরণ করতে চাইছে। একটা সময় জিও ফ্রিতে মোবাইল কানেকশন দিয়েছিল। পরে ৪৯ টাকা, এখন ৮৪ দিনের জন্য প্রায় ৭০০ টাকা রিচার্জ করতে হচ্ছে। একই ভাবে গ্যাসের ভর্তুকি তুলে দেওয়া হয়েছে। ঠিক একই ভাবে এই স্মার্ট মিটার প্রথমে বসাবে। পরে মানুষ ব্যাপক সমস্যায় পড়বেন। বর্ধমান শহরে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। নেতৃত্ব বলেন সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে গণআন্দোলনের রূপ দিতে হবে। পিছু হটতে বাধ্য করাতেই হবে শাসককে।